bnp-flag

রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত হচ্ছে বিএনপির প্রার্থী

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হবে আজ শনিবার। রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বসছেন। সেখানেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল বলেন, ‘আগামী শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে জোটের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ গত ৪ জানুয়ারি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে পাঁচ দিন পর ঘোষণা হয়েছে তফসিল যেখানে প্রার্থিতা জমা দেয়ার শেষ সময় নির্ধারণ হয়েছে ১৮ জানুয়ারি।

তবে তফসিলের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী দাবি করে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম। প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন বলে দাবি করেছেন আতিকুল।

বিএনপি এখানে ২০১৫ সালের এপ্রিলের ভোটের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকেই ধানের শীষ প্রতীক দেবে বলে প্রচার আছে। আবার এখানে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীও একজনকে প্রার্থী হিসেবে ঠিক করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত সোমবার রাতে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে জোটের শীর্ষ নেতারা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব বিএনপি চেয়ারপাররসন খালেদা জিয়াকে দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন যাকে মনোনয়ন দেবেন, জোট তাকেই সমর্থন দেবে।’

(ঢাকাটাইমস

তবে কি আজ রাতেই বিএনপি-জামায়াত জোটে ভাঙন!

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে শনিবারই দলের মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি। ডিএনসিসি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তারই ধারাবাহিকতায় আবারো শনিবার রাতে দলের নীতি-নির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তিনি।

মেয়র প্রার্থী মনোনয়নকে প্রধান এজেন্ডা করে আহূত এ বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তবে জোটের প্রধান শরিক বিএনপিকে পাত্তা না দিয়েই এ নির্বাচনে লড়তে চায় জামায়াত। নিবন্ধন ও প্রতীক হারানো এই দলটির প্রার্থীকে প্রয়োজনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে রাখতে চায় দলটি। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়েও থাকতে চায়। ফলে জোটের মধ্যে ভাঙনের সুরও উঠেছে। কোনো পক্ষই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।

রাজনীতির অন্দরে-বাহিরে বইছে এক ঝড়ো হাওয়া। তবে কি আজ রাতের বৈঠকেই বিএনপি-জামায়াত জোটে ভাঙন দেখা দিচ্ছে? এমন প্রশ্ন অনেকে মনে। তবে দুই দলের কেউই সরাসরি মুখ খুলতে রাজি হননি।

এদিকে, জামায়াতের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে, বিএনপির কাছ থেকে বারবার অবেহলার শিকার হয়েছে জামায়াত। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে জামায়াতের প্রার্থী দেয়া নিয়েও বিএনপির সঙ্গে টানাপোঁড়েন চলছিল। জামায়াতকে যতগুলো ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও পৌরসভাতে মনোনয়ন দেয়ার কথা ছিল সে কথা রাখেনি বিএনপি। তাই এবার জামায়াতও বিএনপির কথা রাখবে না বলে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই মাঠে নেমেছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পেরেশন নির্বাচনে জামায়াত প্রয়োজনে এককভাবে নির্বাচন করতে পারে।

সূত্রটি আরো বলেছে, জামায়াত চাইলে যে বিএনপির বাইরে গিয়েও নির্বাচন করতে পারে সেটা প্রমাণ করা এবং জামায়াতের নিজস্ব ভোট ব্যাংকের সামর্থ্য দেখাতেই নিবন্ধন হারানো দলটি উঠে পড়ে লেগেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত মঙ্গলবার নয়া পল্টনে সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, ‘আগামী শনিবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চান জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে। জোটের বন্ধন অটুটও রাখতে চান তিনি।’

বিএনপিকে ডিঙিয়ে জামায়াতের প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

এদিকে জোটবদ্ধ রাজনীতি করলেও ডিএনসিসি উপনির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগেই নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জামায়াত। এমনকি জামায়াতের প্রার্থী হিসাবে একজন ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন।

বিষয়টি বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে তেমনি টানাপড়েন তৈরি করেছে ২০ দলে। ফলে আজ রাতের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেই নির্ধারণ হয়ে যাবে, বিএনপি-জামায়াত জোটে কি ভাঙন ধরছে কিনা?

এর আগে জোটের বৈঠকের পরও নিজ দলের প্রার্থী প্রশ্নে অনড় অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। দলটির মহানগর উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন ঘরোয়াভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এখনই সব কিছুর ফায়সালা করতে চায় জামায়াত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ যেমন হেফাজতের দাবির কাছে অসহায়-বিএনপিও জামায়াতের কাছে। উল্লেখ্য, নানা ইস্যুতে বেশকিছু দিন ধরেই বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে।

এদিকে ডিএনসিসি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও আওয়ামী লীগ-বিএনপি কোনো দলই ঘোষণা করেনি মেয়র পদে প্রার্থীর নাম। এ ব্যাপারে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, ডিএনসিসি নির্বাচনে সরকারের আন্তরিক প্রশ্ন এবং সংশয় রয়েছে তাদের। তা ছাড়া কৌশলগত কারণেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে চায় তারা।

পূর্বপশ্চিমবিডিডটকম

Check Also

khaleda_mirja_tareq

যে কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বিএনপি

টানা ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। বিভিন্ন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin