fakhrulll

মিয়ানমারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি প্রকাশ করুন : মির্জা ফখরুল

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ামারের সাথে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় ও হতাশা ব্যক্ত করেছে বিএনপি। সেই সাথে সমঝোতা চুক্তিটি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবিও জানিয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মিয়ানমার-বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব বলেন।

বৃহস্পতিবার সমঝোতা চুক্তি সইয়ের পর বিএনপির পক্ষ থেকে এই আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এলো। বায়তুল মোকাররমে জাতীয় মসজিদে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ভাই সদ্য মরহুম আহমেদ কামালের নামাজে জানাজায় যাওয়ার আগে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা খুব হতাশ হয়েছি। ওই চুক্তির মূল বিষয়গুলো আমরা জানি না, জনসমক্ষে আনা হয়নি। এই চুক্তির ফলে তারা (রোহিঙ্গা) কতটুকু আস্থা ফিরে পাবেন যে, তারা সেই জায়গায় আবার ফিরে যাবেন, যে জায়গায় তাদের নিরাপত্তা থাকবে কি না, আবার তারা সেই গণহত্যার শিকার হবে কি না- এ বিষয়গুলো এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই জানি না। এখনো মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন করছে, অত্যাচার করছে। প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে বহু লোক এখানে আসছে। এই অত্যাচার-নির্যাতন-গণহত্যা বন্ধ না করে আবার সেখানে তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা- এটা আমরা মনে করি আরেকটি নরকের মধ্যে ঠেলে দেয়ার সমস্যা হবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ চান কি না প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, অবশ্যই অবশ্যই জনসমক্ষে চাই।

সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আশা করবো যে, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তিটি সত্যিকার অর্থে সেখানে তাদেরকে নাগরিকত্বের মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবস্থা করবে। অন্যথায় এটা একেবারেই একটা ব্যর্থ চুক্তি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ, ‘এখন পর্যন্ত তারা যে গণহত্যা করেছে সেটা কিন্ত বাংলাদেশ সরকার সেভাবে তুলেও ধরেনি এবং একই সাথে সেই যে স্বীকৃতি সেটাও কিন্তু আন্তর্জাতিক সেটাও সেভাবে পাওয়া যায়নি। যদিও জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই কথাগুলো বলেছেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে সে কথাটা এখন পর্য়ন্ত পাওয়া যায়নি ‘

dailynayadiganta

তারেক রহমান বাবার যোগ্য সন্তান: এমাজউদ্দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, তারেক রহমান বাবার যোগ্য সন্তান। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে বাবার মতোই ছুটে গিয়েছিলেন। এই নেতাকে ফিরিয়ে আনতে হলে তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোগ নিতে হবে। তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাবেক উপাচার্য এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এ সভার আয়োজন করে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান বাবার গড়া দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন। তারেক রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন। হাইকোর্টের রায়ে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পাওয়া তারেকের বিরুদ্ধে আর বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এমাজউদ্দীন বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে নেতৃত্বে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে।’

বক্তব্যে এমাজউদ্দীন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনটি শর্তের কথা বলেন। প্রথমত, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে। এ সংসদ রেখে নির্বাচন করাকে ‘বাতুলতা’ করা হবে বলেন। দ্বিতীয়ত, ভোটপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে, তা তুলে দিয়ে বা স্থগিত করে তাঁদের নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে হবে। তৃতীয়ত, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে গঠিত হয়েছে, সেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকার গঠনে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নয়। নির্যাতিত মানুষের নেতা হিসেবে ফিরবেন।’ গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না।

নির্বাচন প্রসঙ্গে এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কোনো পাগলও বিশ্বাস করবে না যে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অধীনে নির্বাচন হলে, বিএনপি জয়ী হবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন আর হতে পারবে না। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, তারেক রহমানের নাম শুনলে এ সরকার আতঙ্কিত হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি লাগামহীন কথা বলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভাপতি মো. লিটনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা, কর্মজীবী দলের সহসভাপতি ও সহসম্পাদক অপর্ণা রায়সহ প্রমুখ।

প্রথম-আলো

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin