mash-akbar

মিরপুরে মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্স দখলের চেষ্টা, চলছে দফায় দফায় হামলা – দেখুন বিস্তারিত

ঢাকার মিরপুর-১ এ অবস্থিত মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্স দখলের চেষ্টায় গতকাল রাত ১২টা থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের একটি গ্রুপ। গতকাল রাত ১২টা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩ দফায় হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা গতকাল রাত ১২টা, সকাল সাড়ে ৭টা ও সর্ববেশ বেলা ১২টার সময় মোট ৩ বার মাদরাসা মসজিদ কমপ্লেক্স দখলের চেষ্টা করেছে।

কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। মাদরাসাটির দায়িত্বে আছেন দেশ বরেণ্য আলেম মুফতি দেলোয়ার হুসাইন।কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক আল্লামা দেলোয়ার হুসাইন ও পরিচালনা কমিটির মহাসচিব আলহাজ মুহিব্বুল্লাহ ইসলামকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ মসজিদ-মাদরাসা কমপ্লেক্সের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন বাতিল ও ক্ষমতা দখলের জন্যই এ হামলা বলে মত দেন তারা।

ঘটনার বিবরণীতে মুফতি দেলোয়ার হুসাইন আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের একজন স্থানীয় নেতা আলহাজ আজিজুর রহমান বাচ্চু এক সময় কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে স্থানীয় মুসল্লিরা তাকে প্রত্যাখান করেছে। তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা না থেকে স্থানীয় অপর নেতা কাসেম মোল্লার সহযোগিতায় কমপ্লেক্স দখলের চেষ্টা করছেন।’

তিনি জানান, কাল রাত ১২টার দিকে অন্য এলাকা থেকে কিছু সন্ত্রাসী টাইপের লোক এনে মাদরাসার গেইট ভেঙ্গে ভেতরের ঢোকে তারা। এরপর সকাল বেলা নির্বাচন শুরু হলে আবার হামলা করে। কিন্তু স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি আমরা।’ প্রশাসন ও স্থানীয় মুসল্লিদের বিভ্রান্ত করতে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও জানিয়িছেন মুফতি দেলোয়ার।

কমপ্লেক্সের বর্তমান মহাসচিব আলহাজ মুহিব্বুল্লাহ আওয়ার ইসলামকে জানান, শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাসেম মোল্লার সহযোগিতায় বাচ্চু হাজী মাদরাসা দখলের চেষ্টা করছে। তারা নির্বাচিত হতে পারবে না এ আশঙ্কায় অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। মূলত আজকের ভোট বানচালের জন্যই এ চেষ্টা করছে তারা। তারা এ পর্যন্ত আমাদরে সঙ্গে ৪ বার ভোটে পরাজিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি নিজে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’বারের সভাপতি। থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। আমি মসজিদ মাদরাসাকে সব সময় রাজনীতির বাইরে রাখতে চেয়েছি। কিন্ত একদল মানুষ এটাকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে এবং মসজিদ-মাদরাসা দখল করে শক্তি প্রদর্শন করছে।

উৎসঃ   আওয়ার ইসলাম

তারেক রহমান দেশে ফিরলে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে

তিনটি শর্তে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে। গতকাল এক সভায় তিনি বলেন, সংসদ ভাঙা, বিরোধী দলের নেতাদের দেয়া মামলা প্রত্যাহার বা স্থগিত এবং বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এই তিন শর্তপূরণ করলেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল। সংগঠনের সভাপতি মো: লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনটি শর্তের কথা বলেন। প্রথমত, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এ সংসদ রেখে নির্বাচন করাকে বাতুলতা করা হবে বলে তিনি মনে করেন। দ্বিতীয়ত, ভোটপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে, তা তুলে দিয়ে বা স্থগিত করে তাদের নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে হবে। তৃতীয়ত, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে গঠিত হয়েছে, সেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকার গঠনে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বাবার যোগ্য সন্তান। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে বাবার মতোই ছুটে গিয়েছিলেন। এই নেতাকে ফিরিয়ে আনতে হলে তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোগ নিতে হবে। তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে নেতৃত্বে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নয়। নির্যাতিত মানুষের নেতা হিসেবে ফিরবেন। গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো পাগলও বিশ্বাস করবে না যে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অধীনে নির্বাচন হলে, বিএনপি জয়ী হবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন আর হতে পারবে না।

onlinenews24

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin