হঠাৎ করে বিমানবন্দরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। সোমবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ হয়।
পরে তারা একই ফ্লাইটে রংপুর যান। মির্জা ফখরুলের সফরসঙ্গী বিএনপি চেয়ারপাসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান পরিবর্তন ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার সকালে রংপুরের উদ্দেশে বিমানবন্দরে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সেখান থেকে বিমানে উঠেই দেখা হয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের সঙ্গে। এ সময় দু’নেতা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন এবং কুশল জিজ্ঞাসা করেন।’
শায়রুল কবির বলেন, ‘পরে এরশাদ ও মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার সকাল সাড়ে ১০টার ফ্লাইটে সৈয়দপুর যান।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে মির্জা ফখরুল রংপুর যাবেন এবং দিনভর সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে প্রচারণা চালাবেন বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদও সিটি করপোরেশন নির্বাচন (রসিক) ঘিরেই সোমবার রংপুর সফরে যাচ্ছেন। এখানে জাতীয় পার্টি থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
আগামী ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে ভোট হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে এখানে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।
এর আগে একইভাবে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎ হয়েছিল। তারা দু’জনেই রংপুরের হিন্দু পল্লীতে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন।
এরশাদ, ফখরুল এক বিমানের যাত্রী…………
রংপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে একই উড়োজাহাজে সৈয়দপুরে গেলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে তারা সৈয়দপুরের পথে রওনা হন।
এরশাদের সঙ্গে তার ছেলে এরিক এরশাদও রংপুর যাচ্ছেন। তাদের পেছনেই ছিল মির্জা ফখরুলের আসন। বিমানে উঠে বিএনপি মহাসচিবকে দেখে কুশল জিজ্ঞাসা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
ফখরুলও সাবেক রাষ্ট্রপতিকে দেখে দাঁড়িয়ে সালাম দেন। এরপর এরশাদ হাত বাড়িয়ে দিলে করমর্দন করেন তারা। তবে তাদের মধ্যে আর কোনো কথা হয়নি এ সময়।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এবং মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতও একই ফ্লাইটে সৈয়দপুর যাচ্ছেন।
বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে রংপুরে মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে আছেন কাওসার জামান বাবলা। আর জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এ সিটি করপোরেশনের গত মেয়াদের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু এবারও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
উৎসঃ বিডিনিউজ