মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আজ বুধবার দুপরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
একইদিন তিনি শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। বিজয় দিবসের পর দিন রাজধানীতে বিজয় র্যালি করা হবে। এসময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি সেক্রেটারি এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যৌথসভা করেন মির্জা ফখরুল। এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,
যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মুজিবুর রহমান সারোয়ার, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১০ দিনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৯ ডিসেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে খালেদা জিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতারা সাভার স্মৃতিসৌধে যাবেন। যেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সুরা ফাতিহা পাঠ করবেন।
এছাড়া বিজয় দিবসের দিন রাজধানীতে অনেক কর্মসূচি থাকায় ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীতে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। বর্ণাঢ্য এই র্যালিতে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ সর্বস্তরের নেকাকর্মীরা অংশ নেবেন।
পাশাপাশি ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৪ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশের কার্যালয়সমূহে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। মিরপুরে শহীদ বুদ্ধজীবী মাজারে যাবেন বেগম খালেদা জিয়া সহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। ১৩ ডিসেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে।
এছাড়া যৌথ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসাথে গতকাল বেগম জিয়া আদালতে হাজিরা শেষে বাসায় ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশী হামলা, গ্রেফতার ও হামলার নিন্দা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রিড়া সম্পাদক আমিনুল হককে গ্রেফতারের নিন্দা জানানো হয় যৌথসভা থেকে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এই মুহুর্তে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী দিবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন যে সম্ভব নয় সেটা প্রমাণ করতেই বিএনপি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকে বলে জানান মহাসচিব।
dailynayadiganta