bnp-flag

বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে…

এ ভূমের মানুষ রাজনীতি ভালোবাসেন। আরো হলফ করে বললে, রাজনীতি নিয়ে তর্ক করতে ভালোবাসেন। যদিও সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে গেছে। চায়ের দোকান বা গণপরিবহনে আগের মতো রাজনীতি নিয়ে বিতর্কে মাততে দেখা যায় না জনতাকে। তাই বলে রাজনীতির চাকাতো আর থেমে নেই। সময় বয়ে যায়।

এক বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা। কবে, কেমন হবে আগামী নির্বাচন। সংলাপ না সংঘাত। একদলীয় না অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সমকালীন রাজনীতির নানা প্রশ্নের জবাব আমরা খোঁজার চেষ্টা করবো রাজনীতিবিদদের কাছ থেকেই। ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজকের পর্বে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার কাজী সোহাগ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে-

নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, নির্বাচন যখন একদম কাছে আসবে তখন হয়তো কোনো কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি কোনো বিষয়ে সুরাহা করতে না পারে তখন আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এই মুহূর্তে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। আবদুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। ওই সময় এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে। নির্বাচন কমিশন প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে আসবে।

এটা নিয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকেন। কারণ তাদেরকে নির্বাচনে আসতেই হবে। এটা দলটির জন্য অস্তিত্বের বিষয়। এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনেও দুই দলের কাছে সমান গুরুত্ব পাবে বলে মনে করেন ড. রাজ্জাক। সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একটি গ্রহণযোগ্যতা আছে। সেটাকে পুঁজি করে দল আবারও ক্ষমতায় আসবে বলে মনে করি।

সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’ নির্বাচনের আগে নানা ধরনের গুজবে সয়লাব হয় দেশের নানা অঙ্গন। এর বাইরে নয় রাজনীতি ও রাজনীতিবিদও। এরই মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা গুজব রয়েছে। এসব আগামী নির্বাচনকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে- এমন প্রশ্নে আবদুর রাজ্জাক বলেন, গুজব সব সময় ছিল। আনিসুল হক যখন অসুস্থ ছিলেন তখনও অনেক গুজব ছিল।

এতবড় দেশ, এতগুলো রাজনৈতিক দল, ১৬ কোটি মানুষ, সুশীল সমাজও রয়েছে। তাই অনেক ধরনের গুজব থাকতেই পারে। আমাদের মিডিয়াও অনেক বড়। অনেকেই খবর সৃষ্টি করার জন্য নানা রকম গুজব ছড়ায়। আগাম নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি জানান, কোনোক্রমেই আগাম নির্বাচন হবে না। এ ধরনের কোনো সম্ভাবনাও নেই। নির্বাচনের প্রস্তুতি ও দলীয় কোন্দলের ব্যাখ্যা দিয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ বড় রাজনৈতিক দল।

অনেক দিন ধরে ক্ষমতায় আছে। তাই কর্মীদের মনে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে। প্রত্যাশা থাকে। সেগুলো পূরণ হয় না। এ কারণে দলের মধ্যে নানা ধরনের কোন্দল ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি তৃণমূলের এসব কোন্দল কমিয়ে আনতে। জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের আরো একবার ক্ষমতায় আসা দরকার।

এ কারণে ছোটখাটো বিভেদ দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। একই আসনে ৭ থেকে ৮ জন দলীয় প্রার্থী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা-প্রসঙ্গে আবদুর রাজ্জাক বলেন, এতে নির্বাচনে কিছুটা তো প্রভাব পড়বেই। আস্তে আস্তে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুশীল সমাজ ও বিভিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রী তাদের বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন। খবরাখবর নিচ্ছেন। সঠিক প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারলে দলীয় কোন্দল থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মানবজমিন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin