বিএনপির ব্যাপক শোডাউন

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরার শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফেরার সময় হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনে থেকে শুরু করে রুপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই টানা ২য় দিন ব্যাপক শোডাউন করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজার আলীয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত থেকে বের হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। আদালত থেকে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মোড়ে আসলে অপেক্ষমান দলটির নেতাকর্মীরা তার গাড়িবহরে যুক্ত হন।

গাড়িবহর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এলে ভেতরে অপেক্ষমান বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গাড়িবহরে যোগ দেন। পথে পথে গাড়িবহরে নেতাকর্মীরা যুক্ত হওয়ায় যে পথ দিয়ে বেগম জিয়া গুলশানের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন সেসব রুটে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

এদিকে গত সপ্তাহে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তবে আজকের (বুধবার) চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন। সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের সঙ্গে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

খানিক সময়ের জন্য হাইকোর্টের মাজার গেট আটকে রাখলেও খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি দোয়েল চত্বর অতিক্রম করার কিছুক্ষণ পরই গেট খুলে দেয়া হয়। এ সময় মিছিল আর স্লোগানে গাড়িবহরের সঙ্গে যুক্ত হন হাইকোর্টের ভেতর অবস্থানরত হাজারো নেতাকর্মীরা।

পরে হাইকোর্টের সামনে অবস্থিত কদম ফোয়ারা, মৎস ভবন মোড়, কাকরাইল মোড় হয়ে হয়ে রুপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এলাকা ও আশপাশ এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। বিশেষ করে হাইকোর্ট এলাকায় নজরদারি ছিল বেশি।

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সামনে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করিম সরকার ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

গত সপ্তাহেও তিন দিন হাজিরা দিতে বকশিবাজারে যান খালেদা জিয়া। হাজিরাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে ছাত্রদলের ৫৩ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটওয়ারী।

ব্রেকিংনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin