kamrun_islam

বিএনপিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি দুষ্টগ্রহ। এই দুষ্টগ্রহকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় হলরুমে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতোই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনেও কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

দলটি বিরোধী দলে থাকলে মাদকসেবীদের পাশে দাঁড়ায় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) মাদকের বিরুদ্ধে চলমান সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলে-বির্তকিত করার চেষ্টা করে। এনকাউন্টারের সমালোচনা করে তারা মাদক সন্ত্রাসের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রীয় পুষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাই, জঙ্গি সৃষ্টি করে। দেশকে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করে। আবার বিরোধী দলে থাকতেও মাদক সেবীদের পাশে দাঁড়ায়। তারা মাদকের বিরুদ্ধে চলমান সাড়াশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলে-বির্তকিত করার চেষ্টা করে। এনকাউন্টারের সমালোচনা করে তারা মাদক সন্ত্রাসের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তাদের রাজনীতি থেকে বিতারিত করতে না পারলে রাজনীতি আরও কুলষিত হবে।

জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের স্মৃতি চারণ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি, বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, বিরহের কবি। তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করতেন। শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্ঠায় তাকে জাতীয় কবি উপাধি দেয়া হয়।

জাতীয় কবি যে লড়াই করেছেন, আমরা তার সংগ্রামকে এগিয়ে নেব। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি-এটাই হোক আজকের দিনের প্রত্যাশা।

খুলনার সিটি নির্বাচনের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। নির্বাচনীয় পর্যবেক্ষক, দেশের সব গণমাধ্যমে নির্বাচনের প্রশংসা করেছে; কেউ বির্তক তুলতে পারেনি। কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচনকে বির্তকিত করার চেষ্টা করছে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুক, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, চিত্র নায়িকা সাহরাহ বেগম কবরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বিটু, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin