আগামী বছরের শেষেই হতে পারে জাতীয় নির্বাচন। সেই হিসেবে সময় আছে এখনো এক বছর। তবে সময় থাকতেই আগমী বছরের শুরু থেকে প্রচারণায় নামবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর এই প্রচারণার লক্ষ্য হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার মামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দলটির অপপ্রচার প্রতিরোধ।
একই সঙ্গে সরকারের অর্জনগুলোও তুলে ধরা হবে জনগণের কাছে। একই ভাবে বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনীতির মঠে তৎপর থাকতে চায় বিএনপি। তবে এখনো অনেক বিষয়েই রয়েছে তাঁদের সিদ্ধান্তহীনতা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের ১২ জানুয়ারি সরকারের চার বছর পূর্তি থেকেই প্রচারণা শুরু হতে পারে। প্রথমে জেলা, পরে উপজেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে সফর হবে। ওই সময় প্রচারণায় আসবে বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি, সন্ত্রাস। মানুষকে জানানো হবে, আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত কী করেছে, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে কী কী করবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের দুটি মামলার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। আওয়মাী লীগ নেতারা মনে করেন, দণ্ডিত হলে দেশজুড়ে বিএনপি অপপ্রচার চালাতে পারে। বিএনপির একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা এখনো পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করেনি।
বেগম জিয়ার মামলার রায় ঘোষণা হলেই তারা কর্মপন্থা ঠিক করে কাজে নেমে পড়বে। আর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার মামলা ঘোষাণার আগেই রাজনীতির মাঠে বেগম জিয়া ও জিয়া পরিবারের দুর্নীতির প্রচারণায় দিয়ে এগিয়ে থাকতে চায় তারা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছর প্রতিটি মাসে থাকা জাতীয় দিবসকে কেন্দ্র করেও দেশজুড়ে কর্মসূচি চালানো হতে পারে।
আগামী বছরজুড়ে বিএনপিও মাঠে থাকতে চায়, তবে এখনো তাঁদের অনেক কর্মপন্থা ঠিক হয়নি। এরমধ্যে চলমান মামলায় বেগম জিয়া দণ্ডিত হলে দলের নিয়ন্ত্রণ কীভাবে চলবে তা নিয়ে সংশয় আছে অনেক নেতার।
প্রাধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা যাই হোক না কেন, আগামী বছর যে রাজনীতির মাঠ সরগরম থাকছে তা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/