anisul_haq

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ কবে, রাষ্ট্রপতিই জানেন

কবে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে তা রাষ্ট্রপতিই জানেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোইট প্রিফন্টেইনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বিতর্কের মধ্যে ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়া প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাগত ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। পরে বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা।

নতুন প্রধান বিচারপতি কবে নিয়োগ দেয়া হবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের এইটুকু বলতে পারি যে, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির একমাত্র এখতিয়ার প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার। উনি দুটি কাজ রাষ্ট্রপতি হিসেবে করেন- একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ।’

তিনি বলেন, ‘এটা ওনার (রাষ্ট্রপতি) দায়িত্ব, উনি এটা (নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ) কবে পালন করবেন সেটা উনিই বলতে পারেন, আমি না।’

সাবেক প্রধান বিচারপতির দুর্নীতি সরকার খতিয়ে দেখবে কি না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে আগে যা বলেছি এখনও তাই বলব। সেটা হচ্ছে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

এর আগে গত ১৫ নভেম্বরও আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি কত দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে, সে ব্যাপারে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। তিনি যখন চাইবেন, তখনই নিয়োগ দিতে পারেন।

খালেদা জিয়ার মামলার রায় ও আ.লীগের নির্বাচনি ছক

জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম দ্রুত এগুচ্ছে কয়েক মাসের মধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার সম্ভাব্য রায় ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু করেছে। মামলায় তার সাজা হলে বিএনপি’র গন্তব্য কী হতে পারে তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে।

ক্ষমতায় থেকে খালেদা জিয়ার এই রায়ের সুফল ভোগ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ, তবে রায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গেলে দেশের মানুষ তা কিভাবে নেবে, তাতে কি লাভ-ক্ষতি হবে তার হিসাবও মেলাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়ার মামলার রায় হবে। এর মধ্য দিয়েই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ হবে।’

আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছেন ‘দলের ভেতরে খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। মামলায় খালেদা জিয়ার পরিণতি কী হতে পারে, তার সাজা হলে বিএনপি এটাকে কিভাবে নেবে এসব ভাবা হচ্ছে। পরিণতি ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই হোক-এটার ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ রাজনীতি। বিএনপি কি খালেদা জিয়ার সাজার দোহাই দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে? তার সাজা হলে ‘জনমত’ কী রকম হবে? জনগণ বিএনপিকে সহানুভূতি দেবে কিনা-এসবের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে আওয়ামী লীগে।’

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আদালত তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে। তবে এটা নিশ্চিত, খালেদা জিয়ার সাজা হলে বিএনপি দুই/তিনভাগে বিভক্ত হবে। সকল ভাগই পৃথক পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও দলটির মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হবে। তবে মামলার রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সতর্ক থাকবো।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা পরবর্তী রাজনীতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। তবে মামলার রায় পরবর্তী পরিস্থিতিতে জনমত যাতে কোনোভাবেই বিএনপির পক্ষে না যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে আওয়ামী লীগ।
rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin