dhaka_somabesh_bnp

প্রধানমন্ত্রী যতই দম্ভ করুক, তাকে নতি স্বীকার করতেই হবে

প্রধানমন্ত্রী এখন যতই দম্ভ করুক না কেন। যতই ধমকের দিয়ে কথা বলুক না কেন। ওনার ওই দম্ভ ভেঙ্গে যাবে। জনতার দাবির মুখে তাকে নতি স্বীকার করতেই হবে। ওনাকে একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধিনেই নির্বাচন দিতে হবে।

যদি দেশে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন হতে হয় তবে তাকে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতেই হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই আমরা মনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান এসব কথা বলেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, সৌদি আরব থেকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এটা নিছক একটা ফেসবুকের খবর। এই তথ্যটি সর্ম্পূণ ভুয়া। এই ধরনের কোনো সম্পদ নেই।

তাই ভুয়া একটা খবরের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর মত দায়িত্বশীল পদ থেকে মন্তব্য করবেন এটা ওনার কাছ থেকে আমরা আশা করি নাই। আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি আমাদের নেত্রীর এই ধরনের কোনো সম্পদ কোথাও নেই। ওনি কোনো দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেন নাই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরাবরই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের ওপর সব সময় খুব ক্ষুব্ধ। মনে হয় ওনি পারলে জিয়া পরিবারকে একবারেই বিলীন ও নিশেষ করে দেওয়া।

ওনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের কাছে বির্তকিত করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হামলা, খুন, ঘুম সহ এমন কিছু নেই যা তিনি ব্যবহার করেননি। যেখানে বিএনপিকে ধংস করার পরিকল্পনা নিয়েই তিনি এসব করেছেন। এতো কিছুর পরেও বিএনপিকে ধংস করা যায়নি।

নাক খত দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তিনি বিএনপিকে জড়িয়ে যে কথা বলেছেন তা গ্রাম্য পাঁচালি ছাড়া আর কিছু না। এটা গ্রামের একটা নিম্ম স্তরের ভাষা। প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের ভাষা ব্যবহার না করলে ভালো হয়। সেটা তার নিজের জন্য, দেশের জন্য সকলের জন্য ভালো হয়।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করবো না এটাতো বলিনি। বিএনপি নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য সকল নির্বাচনের পথ তিনি রুদ্ধ করে দিয়েছেন নিজ উদ্যোগে সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনী এনে। সেই সংশোধনীতে তিনি ভালো কোনো নির্বাচনের পথ রাখেননি। তিনি একটা বড় রাজনৈতিক দলের সভানেত্রী। স্বাভাবিক কারণে তার অধিনে নির্বাচন করা বিএনপির আশা করা ঠিক না।

আস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin