রসিক নির্বাচনের সব ধরনের প্রচারণা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে। আজ বুধবার একদিন বিরতিতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ঠিক করছেন ভোটের দিনের করণীয়। একই সঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা নির্বাচনী প্রচারণার ব্যবচ্ছেদ করতে বসেছে দলগুলো।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নিজেদের প্রচারণা নিয়ে সন্তুষ্ট জাপার প্রার্থী। শুরুতে দলটির মধ্যে অভ্যন্তরনীন কোন্দাল দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মনোনীত প্রার্থীই টিকে যান। মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার পক্ষে প্রচারণায় দেখা গেছে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত মন্ত্রী পদমর্যাদার এরশাদও এখন রংপুর অবস্থান করছেন। নির্বাচন বিধি অনুযায়ী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁর বিধিনিষেধ আছে। অবশ্য উন্মুক্ত প্রচারণায় তাঁকে দেখাও যায়নি।
দলের প্রচারণায় মোটেই সন্তুষ্ট নয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফু্দ্দিন আহমে ঝন্টু। তাঁর পক্ষে রংপুরের প্রচারণায় দেখা যায়নি দলের শীর্ষ বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের। সাংবিধানিক পদে থেকে প্রচারণারয় অংশ নেওয়া না গেলেও এমন নিয়মের বাইরেও তো অনেক নেতা ছিলেন। তারা কেন রংপুরে যায়নি এ নিয়ে অসন্তুষ্ট দলের মেয়র প্রার্থী।
আবার প্রচারণা নিয়ে অসন্তুষ্ট বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলাও। অবশ্য তাঁর প্রচারণায় বিএনপির মহাসচিব সহ কয়েকজন অংশ নিয়েছে। তবে অনেকের মতে, তা লোক দেখানো এবং অতি স্বল্প সময়ের জন্য।
এছাড়া সড়কপথে গাড়ি শোভাযাত্রায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার রংপুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেগম জিয়া সেকথা রাখেননি। শেষ সময়ে বাবলা গণমাধ্যমে নিজের জয় পরাজয়ের চেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েই বেশি কথা বলছেন। বেগম জিয়া রংপুর গেলে হয়তো বিএনপি প্রার্থীর গলায় অন্য সুর বাজতো।
প্রধান তিন প্রার্থীই প্রচারণা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও এখন সবারই আগ্রহের কেন্দ্রে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের নির্বাচন। সব শিবিরেই নির্বাচনের দিনের করণীয় এবং ভোটারদের সহযোগিতার পরিকল্পনা নিয়েই ব্যস্ততা দেখা গেছে। আর প্রচারণার ফলাফল হাতেনাতেই পাওয়া যাবে ভোট শেষে বৃহস্পতিবার রাতে।
বাংলা ইনসাইডার