বিএনপি আয়োজিত বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। র্যালিতে অংশ নিতে এই এলাকায় অসংখ্য নেতাকর্মীর উপস্থিতির কারণে এই রুট দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যালিটি শুরু হলেও দুপুর ১টা থেকেই সড়কে অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা। ফলে এই রুটে দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
র্যালিতে অসংখ্য নেতাকর্মীর উপস্থিতির কারণে নয়াপল্টন ছাড়াও ফকিরাপুল, নাইটিঙ্গেল ও কাকরাইল মোড়ে দিয়েও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় বিএনপির র্যালিটি মালিবাগ মোড়ে গিয়ে পৌঁছলেও র্যালির শেষাংশ তখনো নয়াপল্টনে আটকা ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড়ে এই এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে।
এদিকে গুলিস্তান ও পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইল ও মালিবাগসহ বিভিন্ন রুটে নিয়মিত চলাচল করে এমন যানবাহনগুলোও র্যালির কারণে ঘণ্টা নাগাদ আটকা পড়ে আছে।
বিএনপির র্যালিতে নেতাকর্মীদের ঢল
বিএনপির বিজয় র্যালিতে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। রোববার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে এ র্যালি উদ্বোধন করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন হাতে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে র্যালিতে অংশ নিয়েছেন তারা। কারো কারো হাতে রয়েছে ধানের শীষ। কেউ কেউ গায়ে আলপনা এঁকেছেন।
সমস্ত গায়ে রঙ দিয়ে আলপনা করে যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন টুটুল। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমি বিএনপি করি, বিএনপিকে ভালোবাসি। তাই এভাবে সেজে এসেছি। আমার বড় ভাই স্বপন আমাকে সাজিয়ে দিয়েছেন।
রাজধানীর মিরপুর থেকে এসেছেন মো. রুবেল। তিনি বলেন, আমার পরিবারের সবাই বিএনপি করে। এতোদিন আমরা বহু বঞ্চিত হয়েছি। আশা করি এবার আমাদের দল জয়ী হবেই।
র্যালিতে অংশ নেয়া কারো কারো হাতে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। মাইক থেকে ভেসে আসা গানের তালে তালে সেই বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন তারা।
এমন একজন সদিয়া আক্তার। তিনি বলেন, আমার রক্তে বিএনপি। বিএনপির জন্য আমি সব রক্ত দিয়ে দিতে পারি। এবার যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তবে আমাদের দল অবশ্যই জিতবে।
jagonews