‘নির্বাচনী সরকার ঘোষণার ২০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার পতন’, কিভাবে?

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার ঘোষণার পর ২০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচনকালীন সরকার ঘোষণার পরপরই দেশে একযোগে আন্দোলন শুরু হবে।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সকাল ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা। অসাংবিধানিকভাবে কারাগারের ভেতরে আদালত স্থানান্তরের প্রতিবাদে রাজশাহীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের মাঝে যে বিষ ঢেলেছেন, সে বিষেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন তিনি। সরকার আমাদের নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্ন ধরণের মামলা দিয়ে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু সেটা রুখে দিবে জনগণ। কারণ আমাদের এক পা কবরে শহীদি দরজা খুলে রেখেছে, অন্য পা জেলের ফুলের মালার জন্য প্রস্তুত আছে।

বিশেষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। তিনি বলেন, সরকার গুম-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে এ সরকার আমাদের ১৯৫ নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৭৮ হাজার নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ সময় তিনি হুশিয়ারি করে বলেন, আপনারা সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠা করে কি আমাদেরকে হত্যা করতে চান? তবে জেনে রাখুন এর ফল ভালো হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, দেশে সামরিক শাসন চলছে। এটা এরশাদের শাসনকেও ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, জেনে রাখুন, বিএনপি কোনো জেল-জুলুম ভয় করে না। বরং সরকার বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে ভয় করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মতিহার থানা সভাপতি আনসার আলী, রাজপাড়া থানা সভাপতি শওকত আলী, বোয়ালিয়া থানা সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকল, রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মুজাদ্দেদ আলী সুমন। এছাড়াও মহানগর ও থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উৎসঃ   purboposhimbd

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin