moududh_ahmedh

নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার কোনো কথা সংবিধানে নেই: মওদুদ

‘নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার কোনো কথা সংবিধানে নেই, কিন্তু এমন বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয়তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।

মওদুদ আহমেদ বলেন, মাজদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের মৃত্যু হয়েছে, তা বলেননি। দেশের গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, তাও বলেননি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের মাধ্যমে সরকার সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটিয়েছে। ‘কীভাবে ব্ল্যাকমেইল করে অপসারণ করানো যায় তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’ বলেও মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, বর্তমান সংসদের প্রায় সব সদস্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। তারপরও কোরাম (৬০ সদস্য) সংকট হয়। কিভাবে তিনি সংসদ চালান, ভাষণে তা বলেননি।

বর্তমান সংসদে অনির্বাচিত সংসদ সদস্য বেশি, কি করে তারা নির্বাচিত হলেন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তা বলতেও ভুলে গেছেন

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে আমি মনে করি না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তার ভাষণে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ফুলকা হয়ে গেছে, বিএনপিকে নিশ্ছিন্ন করে দেওয়ার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজী, ব্যবস্থা দখল, দোকান দখল, ধর্ষণ, গুম, খুনের বিষয় উঠে আসেনি।

মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে জনগণের দুঃখ কষ্টের কোনো প্রতিফলন নেই। তার ভাষণে কেবল তার সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার যে উন্নয়ন মেলা করেছে, সেটা আসলে দুর্নীতি মেলা। কেননা, সরকার সব বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। আর বড় বড় প্রকল্প মানে বেশি বেশি দুর্নীতি। বড় বড় প্রকল্প মানে বেশি বেশি ঘুষ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।

বিএনপি এই নেতা আরো বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এবং আমাদের বিরুদ্ধে যতই মামলা দেওয়া হোক না কেন- কোনোকিছুর মাধ্যমে আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না।’

সভায় আয়োজক সংগঠন ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin