তোপের মুখে ফখরুল

বেগম জিয়ার সঙ্গে একা সাক্ষাৎ করে দলের সিনিয়র নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপি মহাসচিব। গতরাতে মির্জা ফখরুল দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছেন। শনিবার বিকেলে মির্জা ফখরুলকে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়। বেগম জিয়া প্রায় দেড় ঘণ্টা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কথা বলেন।

রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতা এবং আইনজীবীদের ডাকেন বিএনপি মহাসচিব। সরকার শুধু তাঁকে একা কেন সাক্ষাৎ করতে দেয় এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

ঈদের আগে বিএনপির পাঁচজন সিনিয়র নেতা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও ঐ তালিকায় ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও ড. মঈন খান। ঈদের দিন তাঁরা জেলগেট পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

আরো পড়ুন → বি. চৌধুরীর বাড়িতে বিএনপির চার নেতার পদধূলি

গতরাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি চাইলেই সরকার অনুমতি দেয়, আমাদের দেয় না। ব্যাপারটা কী?’ তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আপনার লেনদেন কী, খাতির কেন?’ মির্জা ফখরুল এসব প্রশ্নে একটু বিব্রত হন। তিনি বলেন, মহাসচিব হিসেবে আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু দলের অন্য সিনিয়র নেতারা এটাকে ‘রহস্যময়’ বলে বর্ণনা করেন।

একজন নেতা বেগম জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি তো সরকারকে সার্টিফিকেট দিলেন। সরকার এতদিন ধরে বলছিল ম্যাডামের অসুস্থতা গুরুতর কিছু নয়।

আরো পড়ুন → ২০ দল ভাঙছে আ. লীগ?

আমরা বলছিলাম, তাঁকে অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিতে হবে। আপনি যা বললেন, তা তো  সরকারের পক্ষেই গেল।’ এছাড়াও ২০ দলকে অকার্যকর রাখার জন্যও বিএনপি মহাসচিব সমালোচিত হন।

বাংলা ইনসাইডার/

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin