আবার কথার যুদ্ধে জড়ালেন বিএনপির দুই নেতা। একজন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অন্যজন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ৩০ জানুয়ারির ঘটনা নিয়ে মির্জা ফখরুল রিজভীকে ‘রাজাকার’ বলেন। জবাবে রুহুল কবির রিজভী মির্জা ফখরুলকে বলেন, ‘তুই রাজাকার।’ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
৩০ জানুয়ারি পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষ নিয়ে দুই নেতা দু’রকম ব্যাখ্যা দেন। ৩০ জানুয়ারি রাতেই একটি বেসরকারি টেলিভিশিনের টকশোতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশ বিএনপি কর্মীদের আটক করেছিল। বিএনপির কর্মীরাই তাঁদের উদ্ধার করেন।’ কিন্তু বুধবার দলীয় কার্যালয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির কোনো কর্মী নয়, অনুপ্রবেশকারীরা প্রিজন ভ্যানে আক্রমণ করেছে।’
মহাসচিবের সংবাদ সম্মেলনের পর রিজভী কৈফিয়তের সুরেই জানতে চান, ‘এটা কেন বললেন? আপনি কর্মীদের ওন করেন না? এদের অনুপ্রবেশকারী বলছেন কেন? মির্জা ফখরুলেরও সম্ভবত ‘ধৈর্যের বাধ ভেঙে যায়। বলেন, ‘চুপ রাজাকার।’ জবাবে রিজভী বলেন, ‘তুই রাজাকার।’ এরপর অন্য বিএনপির নেতারা দুজনকে দুই জায়গায় সরিয়ে দেন।
বাংলা ইনসাইডার/
গয়েশ্বরকে ধরিয়ে দিলেন মির্জা আব্বাস?
বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে কে ধরিয়ে দিয়েছে? বিএনপির অনেক নেতাই অভিযোগ করেছেন, বিএনপির আরেক নেতা মির্জা আব্বাসই তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন তোলপাড় চলছে। একাধিক বিএনপি নেতা বলছেন, সরকারের ইঙ্গিতেই মির্জা আব্বাস গয়েশ্বরকে ব্যবহার করেছেন।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ৮ ফেব্রুয়ারির আগে বিএনপি বড় ধরনের কোনো সহিংসতায় জড়াবে না। শক্তি ক্ষয় করবে না। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসের লোকজন পুলিশ ভ্যানে চড়াও হয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়। অথচ ওই দিন কর্মীদের জড়ো করার দায়িত্বে ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গয়েশ্বর কর্মীদের বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিতে।
কিন্তু মির্জা আব্বাসের ইঙ্গিতে কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুরো ঘটনায় গয়েশ্বর নিজেই অবাক হয়ে যান। পরে টেলিফোনে তিনি মির্জা আব্বাসকে বলেন, এটা কী হলো? আমরা এখনই কেন এসবে জড়ালাম। উত্তরে মির্জা আব্বাস বলেন, দায়িত্ব তোমার, লোক তোমার, তুমি আমারে প্রশ্ন কর কেন? মঙ্গলবার রাতেই গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গ্রেপ্তার হন।
বাংলা ইনসাইডার