বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নাশকতার দুটি ও মানহানির এক মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এ আবেদন করেন।
ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান জানান, এর আগে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এটিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে তিন মামলায় জামিন আবেদনের অনুমতি দেন।
এর আগে নাশকতার দুই মামলা ও মানহানির এক মামলাসহ তিন মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন আবেদনের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার সাড়ে এগারটার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এটিএম হাসান।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, কুমিল্লায় বিশেষ ও হত্যার ২টি এবং নড়াইলে মানহানির একটি মামলায় জামিন আবেদনের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন পেয়েছেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজকের মধ্যেই জামিন আবেদন দায়ের করা হবে।
এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তবে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকার কারণে এখনই তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না। কুমিল্লা, নড়াইল ও ঢাকায় থাকা মামলায় জামিন নেয়ার পরই কেবল তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা আইকন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে আগুনে পুড়ে বাসটির ৮ জন যাত্রী মারা যায়। এ ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ ২টি মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াতের ৭৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলে ১ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়।
জেলার নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। সমন গ্রহণ না করায় ওই বছরের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।