tarek_rahman

তারেক রহমান দেশে ফিরলে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে

তিনটি শর্তে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে। গতকাল এক সভায় তিনি বলেন, সংসদ ভাঙা, বিরোধী দলের নেতাদের দেয়া মামলা প্রত্যাহার বা স্থগিত এবং বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এই তিন শর্তপূরণ করলেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল। সংগঠনের সভাপতি মো: লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনটি শর্তের কথা বলেন। প্রথমত, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এ সংসদ রেখে নির্বাচন করাকে বাতুলতা করা হবে বলে তিনি মনে করেন। দ্বিতীয়ত, ভোটপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে, তা তুলে দিয়ে বা স্থগিত করে তাদের নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে হবে। তৃতীয়ত, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে গঠিত হয়েছে, সেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকার গঠনে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বাবার যোগ্য সন্তান। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে বাবার মতোই ছুটে গিয়েছিলেন। এই নেতাকে ফিরিয়ে আনতে হলে তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোগ নিতে হবে। তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে নেতৃত্বে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তারেক রহমান ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নয়। নির্যাতিত মানুষের নেতা হিসেবে ফিরবেন। গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো পাগলও বিশ্বাস করবে না যে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অধীনে নির্বাচন হলে, বিএনপি জয়ী হবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন আর হতে পারবে না।

বগুড়া বার সমিতির নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ বিএনপি-জামায়াত প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়

শুক্রবার অনুষ্ঠিত বগুড়া জেলা অ্যাডভোকেটস বার সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত আফতাব–সাইফুল পরিষদ কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩টি পদের মধ্যে ১১টি পদেই বিজয়ী হয়েছে। অপরদিকে আ’লীগ, জাপাসহ সমমনা দল-সমর্থিত গালিব–মুকুল পরিষদ শুধু দু’টি সদস্য পদে জয়লাভ করেছে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সমিতির গওহর আলী ভবনে একটানা ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি রাত সাড়ে ৯টায় ফলাফল ঘোষণা করে। এই নির্বাচনে ৬৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ৬২৬ জন ভোট দেন।

সভাপতি পদে বিজয়ী বিএনপি জামায়াত-মর্থিত আফতাব উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট। নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী প্যানেলের প্রার্থী বর্তমান সভাপতি লুৎফে গালিব আল জাহিদ মৃদুল পেয়েছেন ২৭৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী বিএনপি প্যানেলের (সাবেক পিপি )এ কে এম সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩২৬ ভোট। নিকটতম আ’লীগ-সমর্থিত প্রার্থী সাবেক সাধারন সম্পাদক মকবুল হোসেন মুকুল পেয়েছেন ২৭১ ভোট্।

অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন সহসভাপতি পদে বিজয়ী বিএনপি প্যানেলের আজবাহার আলী ও সেলিম রেজা, যুগ্ম সম্পাদক পদে পিএম মইনুল হাসান হেলাল ও আতিকুল মাহবুব সালাম, লাইব্রেরী ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল হক, ম্যাগাজিন, ক্রীড়া ও সাংস্কুতিক সম্পাদক গোলাম দস্তগীর সরকার(শাওন), কার্য্য নির্বাহী সদস্য পদে আতোয়ার হোসেন প্রামাণিক (আপন) গোলাম মোস্তফা মজনু, শরীফুল ইসলাম (২) হীরা।

অপরদিকে আওয়ামী প্যানেলের বিজয়ী দুই সদস্য হলেন মোঃ জুয়েল ও দেবাশীষ রায়। এদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম সহ বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

dailynayadiganta

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin