সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আগে আন্দোলন চান তৃণমুলের নেতা কর্মীরা। লন্ডনে পলাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বিএনপির প্রান্তিক নেতারা এই দাবী করেছেন।
গত ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর তারেক জিয়া ৩ বিভাগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনলাইন সভা করেছেন। এই বিভাগ গুলো হলো রাজশাহী, বরিশাল এবং খুলনা। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গড়ে ৫ ঘন্টা করে আলোচনা করেছে তারেক জিয়া।
প্রতিটি আলোচনাতেই, তৃনমূলের নেতা কর্মীরা বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অযোগ্য, সুবিধাবাদী এবং দুর্নীতিবাজ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা বলেছেন, এই নেতৃত্ব দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন তো দুরের কথা, দলের অস্তীত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে না। তারা অবিলম্বে কাউন্সিলের মাধ্যমে দলে নতুন, কর্মক্ষম এবং দেশ প্রেমিক নেতৃত্বের দাবী করেন।
তিনটি বিভাগীয় শহরেই বিএনপির তৃনমুলের নেতৃবৃন্দ যে সব দাবী উত্থাপন করেছেন তা একই। বিএনপির তৃনমুলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা ‘ভাইয়া’র কাছে ৫ দফা দাবী পেশ করেছেন। এগুলো হলো:-
১. অবিলম্বেকাউন্সিলেরমাধ্যমেনতুননেতৃত্ব :- তৃনমুলের প্রধান দাবী এখন অনতিবিলম্বে দলের কাউন্সিল অধিবেশন করা। বিএনপির তৃনমুলে বলেছে, দলের মহাসচিবের গ্রহনযোগ্যতা নেই অন্যান্য স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দও দলের জন্য কাজ করছেন না। তাই বিএনপিকে টিকিয়ে রাখতে হলে নতুন নেতৃত্বের বিকল্প নেই্
২. নির্বাচনেরমাধ্যমেকমিটি : তৃণমুলের দ্বিতীয় দাবী হলো, স্থানীয় পর্যায়ে এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনে স্বচ্ছতা আনতে হবে। চাপিয়ে দেয়া কমিটি দিয়ে বিএনপিকে আরো দূর্বল করা হচ্ছে। তৃনমুলে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবী করেন।
৩. ২০দলপূণ:গঠনওশক্তিশালীকরা: তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা তারেককে বলেছেন, ২০১৮র নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যাওয়া ছিলো বিএনপির বড় ভুল। তারা অবিলম্বে ২০ দলকে পুণ:গঠন ও শক্তিশালী করার দাবী জানিয়েছে।
৪. বেগমজিয়ারকথাবলা: বিএনপি নেতৃবৃন্দ বেগম জিয়াকে ‘সামান্য’ হলেও সক্রিয় হওয়ার দাবী করেছে। তারা বলেছেন, বেগম জিয়ার নামে হলেও কিছু বিবৃতি জনগনকে দেয়া দরকার। এতে নেতা কর্মীরা আশান্বিত হয়।
৫. দল না গুছিয়ে আন্দোলন নয়: এখনই সরকারের বিরুদ্ধ আন্দোলনের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছে দল আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত নয়। তারেকও ঐ সব বৈঠকে দলের ব্যপারে করনীয় সম্পর্কে তার মতামত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার