বেগম খালেদা জিয়াকে দুই শর্তে মুক্তি দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন আজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শর্তগুলো হলো; তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না। আকস্মিকভাবে এই ঘোষণায় খোদ বিএনপির লোকজনই হতবাক হয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার পরিবার এবং সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহল ছাড়া কেউই এই বিষয়ে জানতো না।
খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাস স্থগিত করে এই মুক্তি দেয়া হয়েছে। মুক্তির শর্ত দেয়া হয়েছে দুইটি। একটি, দেশে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে, অন্যটি নিজ বাসভবনে থাকতে হবে। এগুলো হচ্ছে প্রকাশ্য শর্ত, সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এবং বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এর বাইরেও খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে,
১. খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে বাসায় যাবার পর কিছুদিন তিনি চিকিৎসা নিবেন। তাঁর চিকিৎসা ইউনাইটেড হাসপাতাল বা অ্যাপোলোতে করা হবে।
২. বেগম জিয়ার মুক্তির সময়ের মাঝে তারেক জিয়াকে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করবেন অথবা তিনি তারেক জিয়াকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করবেন।
৩. বেগম খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে জামাতের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করবেন এবং জামাতের সাথে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই- এই মর্মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন।
৪. বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পুনর্বিন্যাস করবেন এবং সেখানে যারা স্বাধীনতাবিরোধী বা বিভিন্ন দলের স্বার্থে তৎপরতার কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
মূলত এই শর্তগুলো পূরণের নেপথ্যেই বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন এবং খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হবার পর ধাপে ধাপে এই শর্তগুলো পূরণ করবেন। এই শর্তগুলো পূরণের সাপেক্ষে তাঁর জামিনের মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র আভাস দিয়েছে।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার