তরুণদের রাজপথে নামাবে প্রজন্ম বাংলাদেশ

দেশ গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রজন্ম বাংলাদেশ প্ল্যান-বি নামে একটি রাজনৈতিক প্রচার অভিযান কর্মসূচি শুরু করবে। ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিউশনে আগামী ২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।

প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রধান সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী আজ শুক্রবার সকালে বারিধারার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

তিনি প্রজন্ম বাংলাদেশকে বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রজন্ম বাংলাদেশ বিকল্পধারা এবং যুক্তফ্রন্টের সাথে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।

মাহী বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ তরুণ প্রজন্মের। এদের বয়স ৩০ থেকে থেকে ৩৫। কিন্তু দুঃখের বিষয় সংখ্যায় বেশি হলেও এরা রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়। দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় তরুণ সমাজের অংশিদারিত্ব নেই। এই যুবসমাজ হতাশ।

এরা দেশকে তাদের মেধা ও শ্রম দিতে চায়, কিন্তু পারছে না প্রচলিত রাজনীতির কারণে।আমরা যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করেছি, তাদের বলেছি তরুণ সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। আমরা চাই, প্রজন্ম বাংলাদেশ নবীণ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে প্রজন্ম বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন প্রজন্ম বাংলাদেশের প্ল্যান-বি কর্মসূচিটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। তরুণ সমাজ দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতীক, তারা দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায়।

মাহী বলেন, তরুণ সমাজকে আমরা রাজপথে নামাবো অহিংস পন্থায় আন্দোলন করবো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হেলমেটধারীরা’ আমাদের উপর হামলা চালালেও আমরা আমাদের অবস্থান থেকে বিচ্যুত হবো না। প্রয়োজনে আমরা নিজেদের ‘হাত বেঁধে’ হলেও আমাদের অহিংস কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রধান বলেন, প্ল্যান-বি’র রোববারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও পেশাজীবী সংগঠেনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে প্রজন্ম বাংলাদেশের উপ প্রধান মো: সারোয়ার মোর্শেদ, মহাসচিব যুবরান গাজী, ফারাজ কাজল, শেখ সূচিতা জাহান স্নেহা, শাফি মো: ইমরান সানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin