ঢাকায় মর্যাদার লড়াইয়ের ভোট শেষ পর্যন্ত হবে তো?

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনে শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলামই পেলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।

মঙ্গলবার রাতে দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় তাকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ।

গত ৩০ শে নভেম্বর মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে মেয়রের পদটি শূন্য হয়।

শূন্য এ পদে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি এবং এই নির্বাচনে যিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন তিনি আনিসুল হকের মেয়াদের অবশিষ্ট সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন। খবর বিবিসির

এর আগে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়ালের নাম ঘোষণা করেছিলো। মিস্টার আউয়াল ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে আনিসুল হকের সঙ্গ প্রতিদ্বন্ধীতা করেছিলেন।

এবারো তিনি বিএনপি প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলামের সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন। আতিকুল ইসলাম রাতেই তার ফেসবুক পাতায় তাকে মনোনয়ন দেবার জন্য আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনটি ঢাকার একটি অংশে হলে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রায় সবাইকেই ব্যাপক আগ্রহী দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াত।

যদিও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন তাদের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালই ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী এবং বিজয় নিশ্চিত করতে তারা তাদের প্রার্থীর স্বপক্ষে সর্বাত্মক কাজ করবেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন তাদের প্রার্থীই ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী।

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন নির্বাচনটিকে তারা গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন তবে স্থানীয় সরকার হওয়াতে এর সাথে জাতীয় নির্বাচনের কোন যোগসূত্র নেই বলেই মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে বাম কয়েকটি দল মিলে প্রার্থী করছে জোনায়েদ সাকীকে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকার এ নির্বাচনটি রাজনৈতিক কারণেই দুটি প্রধান দল বা জোটের কাছে একটি মর্যাদার লড়াইয়ের পরিণত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল হারলে কথা উঠবে যে তাদের জনপ্রিয়তা কমেছে। আবার বিএনপি জিতলে তারা বলবে তাদের জনপ্রিয়তা আছে বা বেড়েছে। তারা হারলেও নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করবে। সবমিলিয়ে এটা দু দলের জন্যই চ্যালেঞ্জের হবে’।

সাখাওয়াত হোসেনের মতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র এক বছরের মধ্যেই এসব কারণে দুটি দলের কাছেই এ নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর সে কারণেই দল দুটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই নানাভাবে জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন।

তবে উপনির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে দুটি রিট হওয়ায় অনেকের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একটি সংশয়ও রয়েছে।

আজ বুধবার এ বিষয়ক রিটের ওপর আদালতের আদেশ দেয়ার কথা রয়েছে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin