ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন শাফিন আহমেদ

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড মাইলসের বেজ গিটারিস্ট ও প্রধান গায়ক শাফিন আহমেদ এবার ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হলেন। ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) থেকে প্রার্থী হচ্ছেন শাফিন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ববি হাজ্জাজ তার দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে শাফিন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মলনে এসময় দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা ও ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া ঢাকা উত্তরের সম্প্রসারিত সীমানায় গঠিত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং ঢাকা দক্ষিণের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটের জন্য আলাদা তফসিল ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য গত ৩০ নভেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুল হক মারা যাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদ শূন্য হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল বড় ব্যবধানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি স্থগিত নিয়ে ধোঁয়াশা
এদিকে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অনশনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মসূচি স্থগিত নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী বারবার অনশন ভাঙ্গার চেষ্টা করলেও সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া শিক্ষকরা তা মানতে রাজি হচ্ছিলেন না। নেতাদের কথা মতো কোনো শিক্ষক ঘরে ফিরতে কিংবা অনশন ভাঙ্গতে চাচ্ছেন না। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তোলপাড় চলছে।

সোমবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান অনশন ভাঙ্গাতে গেলে এর বিরোধিতা করেন শিক্ষকদের একাংশ। মন্ত্রী ও শিক্ষক নেতাদের কথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এভাবে প্রায় ১৫ মিনিট মন্ত্রী ও শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কথা কাটাকাটি হয়।

মন্ত্রীর হাত থেকে বিভক্ত শিক্ষকদের একটি সংগঠনের এক নেত্রী পানি পান করেন। এই ঘটনা সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে এরপর সঙ্গে সঙ্গে স্থান ত্যাগ করেন মন্ত্রী। এসময় এক শিক্ষক মাইক হাতে নিয়ে বলেন, আমরা অনশন ভাঙ্গি নাই। আরেকজন বলেন, ভুয়া নেতা মানি না। আন্দোলন চলছে, চলবেই বলে তখন অনেককে স্লোগান দিতে যায়।

এর আগে একাধিক শিক্ষক নেতা মাইকে বারবার বলছিলেন, ‘আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমরা দালালি করব না। আর কেউ যদি না মানেন ৫ মিনিট সময় দিলাম, কমিটি করে সমস্যার সমাধান করেন।’কার্যত ১০টি সংগঠনে বিভক্ত সহকারী শিক্ষকরা নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না।

এদিকে শিক্ষকরা এখনো কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। অনেকে তাদের নিজ নিজ স্থানে এখনো বসে আছেন। তারা বলছেন, এখান থেকে সরে যাওয়া উচিত হবে না।

এরআগে সোমবার বিকালে হেয়ার রোডে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের বাসভবনে তার সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের নেতারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin