ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ড: ৬ নারীকে ধর্ষণের পর ভিডিও

প্রতারতারণা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ছয়জন নারীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার আলোচিত ঘটনায় আরিফ হাওলাদার নামে সেই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

১ মাস ১৫ দিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলার গোসাইরহাট উপজেলার সাইখা ব্রিজের ওপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থান্দার খায়রুল হাসান এ খবর নিশ্চিত করেন।

এএসপি থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, মামলা হওয়ার পর আরিফ হোসেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পুলিশের তিনটি টিম তাকে ধরার জন্য কাজ করেছে। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরিফ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

তিনি জানান, আরিফ এতদিন চাঁপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকায় গাঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। আজ চাঁপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকা থেকে শরীয়তপুর আসার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার সাইখা ব্রিজের ওপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক আরিফ হাওলাদার গোপনে ছয় নারীর আপত্তিকর ছবি ভিডিও করে এবং ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। আবার এসব ধর্ষণের চিত্র গোপনে মোবাইলে ধারণ করেন।

লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণের শিকার নারীরা এসব কথা কাউকে না বললেও সম্প্রতি ওসব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে গৃহবধূ ও কলেজছাত্রীসহ ছয়জন নারীর সঙ্গে আরিফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়।

ভুক্তভোগী ছয় নারীর মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেলেও দুইজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর সংগঠন থেকে আরিফকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ গত ১১ নভেম্বর ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আরিফ হাওলাদার তার স্বামীর আত্মীয় হওয়ায় এবং কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় মাঝেমধ্যে তার শ্বশুরবাড়িতে আসতেন।

গত ১ মার্চ রাতে আরিফ ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর ভিডিও করে। একপর্যায়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আরিফ।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, আমার মতো অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে আরিফ। তাই আমি মামলা করেছি। আরিফ গ্রেপ্তার হয়েছে শুনেছি। আমি ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin