খালেদা জিয়া হারতে হারতেই জিতে যান

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের ‘ফিনিক্স পাথি’ আখ্যা দিয়ে সিলেট বিএনপির নেতারা বলেছেন, ‘আপোষহীন এক নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি গ্রীক পুরাণের ফিনিক্স পাখির মতোই হারতেই হারতেই জিতে যান। তার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।’

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্যে নেতারা এ কথা বলেছেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদে ধ্বংস প্রায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মহান দায়িত্ব থেকে সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দমিয়ে রাখতেই গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয়া হয়েছে।

এমন ঘটনায় পুরো জাতি বিক্ষুব্ধ। অবিলম্বে এই ‘ষড়যন্ত্রমুলক’ গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশপ্রেমিক জনতা প্রস্তুত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।

মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম, মহানগর শাখা সভাপতি নাসিম হোসাইন, সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, সহ-সভাপতি ও প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা সহ-সভাপতি শাহাব উদ্দিন, মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার।

 সহ-সভাপতি আমির হোসেন, জেলা উপদেষ্টা এডভোকেট এটিএম ফয়েজ, জেলা ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা সাংগঠনিক আবুল কাশেম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম হাদী ও মুকুল মোর্শেদ, মহানগর প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, মহানগর আইন বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ, জেলা সাহিত্য সম্পাদক আ ফ ম কামাল, মহানগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক লোকমান আহমদ, জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক প্রমুখ।

এছাড়া বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন শাখা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin