khaleda_zia

খালেদা জিয়া মঙ্গলবার আদালতে যাবেন

আগামী মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে যাবেন তিনি।

সোমবার দুপুরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বেলা ১১টার দিকে খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছাবেন বলে তিনি জানান।

পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দু‘টির বিচারকাজ চলছে।

মামলা দুইটির মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটিতে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য ও অপর আসামিদের সাফাই সাক্ষ্যের জন্য আর জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে দেয়া বক্তব্য শেষ হয়।

এর আগে ৩০ নভেম্বর আদালতে হাজির না হওয়ায় জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এই দিন আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।

এর আগে ২৩ নভেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ষষ্ঠ বারের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক ঘন্টা লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান খালেদা জিয়া। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার পক্ষে করা স্থায়ী জামিনের আবেদন দাখিল করা হলে ফের তা নাকচ করেন আদালত।

গত ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তিনি লন্ডনে অবস্থানকালেই গত ১২ অক্টোবর আদালত দুর্নীতির দুই মামলায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তিন মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পরদিন গত ১৯ অক্টোবর এই দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়।

খালেদা ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin