ভেবেছিলাম রাজনীতি নিয়ে কিছু লিখবো না আপাতত। গতকাল কয়েকটা লোকাল বাসের পিছনে একজনের পোস্টার দেখলাম। পরে লক্ষ্য করলাম ফেসবুকেও তাকে নিয়ে প্রচারণা চলছে। আমাকেও কে যেন ভদ্রলোকের গ্রুপে এড করেছে! খুঁজে পেলে ব্লক মারতাম।
ভদ্রলোক দেশের স্বনামধন্য কোম্পানির মালিক, বড় ব্যবসায়ী। রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। খুবই ভালো কথা। বোধহয় সামনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চান কোনো স্থান হতে। আমার প্রশ্ন এখানেই।
ব্যবসায়ীরাই যদি রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হবে তাহলে ‘ছাত্ররাজনীতি নামক প্রহসন’ বন্ধ করে দেয়া উত্তম। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মাঝে যারা ভবিষ্যৎ রাজনীতি করবে তারা নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। এমনিতেই ছাত্র রাজনীতি থেকে প্রোডাক্ট বের হাতে গোনা কয়েকজন।
তাও আবার হাজার জন জমে আছেন। এর মধ্যে এই ধরনের ব্যবসায়ী নিয়ে লাফানোটা খুবই অশনিসংকেত বলে মনে হচ্ছে। তাহলে সুদখোর ইউনুস সাহেব কি দোষ করেছেন!
ব্যবসায়ীরাই যদি টাকা ছিটিয়ে রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত হয়ে যান তাহলে ছাত্ররাজনীতি করা সাবেক ভাই-বোনদের কি হবে?
কাঁঠাল পাতার মতো টাকা ছড়ালেই যদি হেভিওয়েট পলিসি মেকার নেতাদের কেনা যায় তাহলে তাদের সাথে ছাগলের পার্থক্য কতটুকু?
ব্যবসায়ীরা শুধু ব্যবসা জানে। ছাত্ররাজনীতি করা একজন নেতা সারাজীবন কিছু না পেলেও অন্তত ১০-২০জন মানুষকে নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।
আমি ব্যবসায়ীদের রাজনীতি করাকে হিংসা করে বলছি না, বলছি ওইসব সাবেক ছাত্রনেতাদের জন্য যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা-পরিশ্রমে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ সরকার গঠন করে সফলভাবে দেশ চালাচ্ছে। সেইসব সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যেও অনেক সফল ব্যবসায়ী আছেন।
আওয়ামী লীগে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন এর আগেও এসেছে, এখনও হচ্ছে। কিন্তু এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই বাংলাদেশে সময় আর যুগ তৈরি করে, সেই সময়কে পাল্টে দেয়ার কাজটা শুরু করে কিন্তু ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।’ এই কথাটা সবার মনে রাখা উচিত।
*অবস্থাদৃষ্টে এমন মনে হচ্ছে- (তারেক জিয়া ছাড়া) হয়তো খালেদা জিয়া এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন।*
লেখক: সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি
লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া হয়েছে