mirja_bnp

খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে না, সরকারকে হুঁশিয়ারি ফখরুলের

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে এ দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিস্তারিত আসছে….

আরো পড়ুন

আমরা সবাই মাদকের বিরুদ্ধে, দেশ পুরোপুরিভাবে মাদকমুক্ত হোক: মির্জা ফখরুল
‘আমরা সবাই মাদকের বিরুদ্ধে। আমরা চাই, দেশ পুরোপুরিভাবে মাদকমুক্ত হোক। একইসঙ্গে দেশে ন্যায়বিচার, ন্যায়ের শাসন ও ইনসাফ দেখতে চাই’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি সমর্থিত বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (বিএফইউজে) ও ঢাকা ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (ডিইউজে) এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ইফতারে অংশ নেন।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করছেন গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে হত্যা করছে বিনা বিচারে। মাদক সেবনকারী বা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তারা (সরকার) আসলে কাদেরকে হত্যা করছে, তারা ভাবছেন আমরা কিছুই জানতে পারছি না। আমরা শুধু এটুকু জানছি, বিনা বিচারে বন্দুকযুদ্ধের নাম বলে মিথ্যা কথা বলে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।’

খালেদা জিয়াকে সরকার ‘বিভিন্ন কৌশলে’ কারাগারে আটকে রেখেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার এজন্য এটা করছে যে তারা রাজনৈতিক দিক থেকে একেবারে দেউলিয়া হয়ে গেছে। জনগণের কাছে যেতে ভয় পায়, জনগণের সামনে আসতে ভয় পায়। যে কারণে আজকে তারা (সরকার) বিরোধী দলীয় নেত্রীকে এবং নেতাকর্মীদের গুম-খুন করে দেশে একটা এমন ত্রাসের অবস্থা সৃষ্টি করেছে যেটাকে ফ্যাসিবাদ বলা ছাড়া অন্য কিছু বলার উপায় নেই।’

তিনি বলেন, ‘ আমরা বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই একটা নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করি, নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সমাজের সব পেশা ও শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য সবাই একযোগে আন্দোলন করি- এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।’

বর্তমান গণমাধ্যমের অবস্থা সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে হারে আজকে গণমাধ্যমের ওপরে চাপ সৃষ্টি করছে, যে হারে আজকে সেন্সরশীপ করছে, যে হারে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাতে সত্য বেরিয়ে আসতে পারছে না। যারা সত্য কথা বলছেন তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, তাদের বিভিন্নভাবে বিপদগ্রস্ত করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি- কয়েকদিন আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যারা সত্য কথাগুলো বলেছিলেন, নিউজ করতে গিয়েছিলেন তাদের অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’

বিএফইজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী স্বাগত বক্তব্য দেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বরকতউল্লাহ বুলু, জয়নাল আবেদীন, শওকত মাহমুদ, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজে’র মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ ছিলেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin