moududh

খালেদার সম্পদের অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে: মওদুদ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবার বিদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচারের বিষয়টি প্রমাণ করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পাকিস্তান আমলের মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের ২৬তম মৃত্যুবাষির্কীতে এই আয়োজন করা হয়।

মওদুদ বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব বলেই দিয়েছেন এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন। আমি তাদেরকে বলব এই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে।’

সরকারের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, সরকার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। সরকার উন্নয়নের কথা বলে কিন্তু গণতন্ত্রের কথা বলে না। গণতন্ত্রের কথার নামে একতন্ত্রের কথা বলে। অন্য দল বা অন্য শ্রেণির কথা সরকার বলে না। উন্নয়নের পূর্বশর্ত সুশাসন। সংসদে, বিচার বিভাগে কোথাও সুশাসন নেই। এ সরকারের ব্যর্থতা হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারা।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে সরে যেতে হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন বলে এভাবে তাঁকে সরে যেতে হয়েছে। অথচ সরকার বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান বিচারপতিরা ভয়ভীতি নিয়ে বিচারকাজ পরিচালনা করছেন। রায় দিলে তাঁদের পরিণতি প্রধান বিচারপতির মতো হয় কি না, তা নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসার পর আর তারা সরতে চায় না। তারা ক্ষমতায় এসে জনগণের ওপর এতো পরিমাণ নির্যাতন করেছে, তারা জানে ক্ষতায় ছাড়ার পরে তাদের ভাগ্যে কী আছে। সে জন্য তারা আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না।’

মওদুদ বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় তারা বলেছিল সংবিধানের মর্যাদা রাখতে এই নির্বাচন করা হচ্ছে। কিন্তু এখন সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে, নিরপেক্ষ তত্ত্ববোধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যাবে না। আসলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য বর্তমান সংবিধান কোন বাধা নয়।’

মওদুদ আহমদ দাবি করেন, এরশাদের পতনের পর যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল সেটি বৈধ ছিল না।

মওদুদ বলেন, ‘সাহবুদ্দিন আহমেদ প্রধান বিচারপতি থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হতে চেয়েছিল। ৯১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল সম্পূর্ণ অনৈতিক, অসাংবিধানিক। তখন বলা হয়েছিল আগামী সংসদে এর বৈধতা দেয়া হবে। এই জন্য একাদশ সংশোধনী করা হয়েছিল। সেটা করা হয়েছিল জনগণের চাওয়া পূরণ করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে করার জন্য সংবিধান কোনো বাধা নয়। জনগণ হলো সকল ক্ষমতার উৎস। এর আগেও আমরা দেখেছি, সুতরাং সংবিধান বড় কথা নয়। সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান।’

বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির ঢাকা জেলা সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রমুখ।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin