হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হেফাজত কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, রাজনৈতিক কোনো মোর্চার সাথে হেফাজতের কোনো সম্পর্ক নেই। হেফাজত কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। কাউকে কোনো নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে না।
তিনি বলেন, হেফাজত মুসলমানদের ইমান-আকিদা রক্ষার সংগ্রামের একটি অরাজনৈতিক বৃহত্তম সংগঠন। শুক্রবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে উদ্যোগে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে দু’দিনব্যাপী শানে রেসালত সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের মহাসচিব হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, নির্যাতিত হয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিয়ে ওই দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে ভূমিকা রাখবে হবে। এসব দেশগুলো নির্যাতিত মিয়ানমারের মানুষের পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান।
চার অধিবেশনের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম ও মাওলানা লোকমান হাকিম। সম্মেলনে বক্তব্য দেন মাওলানা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা মুফতি আহমদুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ নুরুল ইসলাম, মাওলানা ওবাইদুর রহমান খান নদভী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা শেখ আহমদ, মুফতি রহিমুল্লাহ, মাওলানা ফোরকান আহমদ, মাওলানা জিয়াউল হোসাইন ও মাওলানা সলিমুল্লাহ।
শীর্ষনিউজ
‘আমরা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছি’ আর না – দেখুন বিস্তারিত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘গত দুই বছর হলো প্রায় আমরা আন্দোলনমুখী কোনো কর্মসূচি দিইনি। আমরা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছি। যদিও আমাদের অগণিত নেতা-কর্মীর ওপরে মামলার পর মামলা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে, সরকারের জুলুম, নির্যাতন, হয়রানি অব্যাহত রয়েছে।’ আজ শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমরা ভোটের অধিকার হারিয়েছি। আমরা গণতন্ত্র হারিয়েছি। মৌলিক অধিকার হারিয়েছি। আইনের শাসন হারিয়েছি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হারিয়েছি। এখন শেষ পর্যন্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও হারিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এই অধিকারগুলো আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা আনতে হলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০-দলীয় জোটের নেতৃত্বে বাংলাদেশে এই দাবিগুলো আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা চাই একটি সমঝোতার মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান হোক।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা ধৈর্য ধরে আছি এই জন্য যে আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে একটি সমঝোতার মাধ্যমে আগামী দিনে একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করতে পারি। আমি মনে করি, শেষ মুহূর্তে হলেও সরকার এগিয়ে আসবে; একটি সমঝোতার চেষ্টা করবে।’
নোয়াখালী শহরের হোইটহল কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দার।
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, সংবিধান কোনো দিনই জনগণের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের জন্য সংবিধান কোনো বাধা হবে না। সমঝোতার মাধ্যমে সবকিছুই আয়োজন করা সম্ভব। ১৯৯১ সালে সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, সেটিও সাংবিধানিকভাবে হয়নি। আমাদের আইনসম্মত করতে হয়েছে একাদশ সংশোধনী পাস করে সংসদ নির্বাচনের পর।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির দুই ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও বরকত উল্যা বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
দিনব্যাপী এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপি সহসভাপতি এ বি এম জাকারিয়া, গিয়াস উদ্দিন, আনোয়ারুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মোক্তার হোসেন পাটোয়ারী, লিয়াকত আলী খান, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক রবিউল হাসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস, ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ছাবের আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলন হলেও দুই পক্ষের মারামারির কারণে কাউন্সিল অধিবেশন হয়নি। পরে চলতি বছরের গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে আবদুর রহমানকে সভাপতি ও মাহবুব আলমগীরকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে আবদুর রহমান ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আর মাহবুব আলমগীর ছিলেন সভাপতি প্রার্থী। এ নিয়ে জেলার বাসিন্দা দলের কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতা কেন্দ্রে আপত্তি জানালে আংশিক কমিটি সংশোধন করে গত ২৩ এপ্রিল নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
প্রথম-আলো