mirza_fakhrul

কোথায় কীভাবে টাকা পাচার, প্রকাশ হবে সময়মতো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। কোথায় কীভাবে টাকা পাচার করা হচ্ছে, বিভিন্ন পল্লি গড়ে তোলা হচ্ছে—সেই খবর দেশের মানুষ জানে। সময়মতো তার সবই প্রকাশিত হবে।

আজ রোববার ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আলোচনা সভাটির আয়োজন করে। এ ছাড়া চারুশিল্পী সংসদ নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার সারা বিশ্বে অত্যন্ত সচেতনভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে একটি সম্পত্তির হিসাব জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। একটি অ্যাকাউন্ট তুলে ধরতে পারেনি, যে অ্যাকাউন্টে তাঁর অবৈধ অর্থ আছে। আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ডও লিপিবদ্ধ হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার যে অর্জন, তা ধ্বংস করার জন্য সরকার পরিকল্পনা করছে। এটা এখন জাতির সামনে বড় সংকট।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, এই সরকারের কোনো ধরনের আত্মসম্মানবোধ নেই। দেশের স্বার্থ বিবেচনা না করে সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছে। যেখানে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়ে স্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবই। এ নির্বাচন অবশ্যই হবে। তবে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে।’

দেশের অর্থনীতিকে ‘তাসের ঘর’-এর সঙ্গে তুলনা করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার একটি দুর্বল ভিত্তির ওপর দেশের অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছে। দেশে নাকি সাংঘাতিক উন্নয়ন হচ্ছে! দেশ নাকি উন্নয়নের রোল মডেল! খবরের কাগজে ব্যাংকগুলোর অবস্থা কী কাহিল হয়ে পড়েছে, যেকোনো দিন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধসে পড়তে পারে। তিনি বলেন, এদিকে সড়কের উন্নয়নে মন্ত্রী সারা দিন বলছেন যে কোনো সমস্যা নেই, সব ঠিক আছে। অথচ রাস্তায় বের হলে দিনাজপুর যেতে ২০ ঘণ্টা লাগে, রাজশাহী যেতে ১৬ ঘণ্টা লাগে—এই হলো উন্নয়নের নমুনা।

সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে দাবি করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বোঁ বোঁ করে ঘুরে লাভ নেই। সরকারের মেয়াদ শেষ। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা এ দেশে শান্তির রাজনীতি করতে চাই। আসুন, সমঝোতা করুন। একটি সুষ্ঠু, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে যান। এলোমেলো করে ঘুরে লাভ নেই।’

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল।

prothom-alo

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin