এরশাদের ভাতিজা আসিফের আম-ছালা দুটাই গেল!

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফও প্রার্থী ছিলেন। চাচার কথা উপেক্ষা করে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন এরশাদ। ফলে ভোটের লড়াইয়ে তিনি পাত্তাই পাননি। হারিয়েছেন জামানতও।

সর্বসাকুল্যে ভোট পেয়েছেন দুই হাজার ৩১৯টি। এ কি হাল হলো ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের। তার হাতি মার্কা তো গেলই সাথে আম ছালা দুটাই গেল!তবে নির্বাচনে তার এই বিপুল পরাজয়ে তিনি অনেকটা মুষড়ে পড়েছেন। ফল ঘোষণার পর তিনি কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন না। তাকে এখন ফোনেও পাচ্ছেন না সাংবাদিকরা।

গত ৮ ডিসেম্বর ভাতিজা আসিফকে দল থেকে বহিষ্কার করেন দলীয় প্রধান এরশাদ। তবে আসিফ বলিষ্ঠভাবে বিশ্বাসী ছিলেন তাকে নগরবাসী বাছাই করবে।

আসিফ বলেছিলেন, ‘ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচনে মার্কা কোনো ফ্যাক্টর হবে না। জাপার প্রার্থীর অবস্থান দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আমার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঝন্টুর সঙ্গে।’

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি রংপুর-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে চাচার নির্দেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন জাপার এ যুগ্ম মহাসচিব। তিনি রংপুর জেলা জাপার সদস্য সচিব পদেও ছিলেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরশাদের ছোট ভাই প্রয়াত মোজাম্মেল হোসেন লালুর ছেলে শাহরিয়ার আসিফ।

জানা যায়, আসিফ এই নির্বাচনে লাঙ্গল পেতে পারিবারিকভাবে অনেক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এরশাদ তার শহরে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন জনপ্রিয় নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে। পরে আসিফ বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। এরশাদ আর লাঙ্গলের জন্য অন্তঃপ্রাণ রংপুরের মানুষ সেটার প্রমাণ আবার দেখিয়েছেন তারা। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এরশাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।

সর্বশেষ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে রাত ১২টার দিকে এ সিটি করপোরশনের ১৯৩টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছেন ১৬০৪৮৯ ভোট, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছেন ৬২৪০০ ভোট এবং বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বাবলা পেয়েছেন ৩৫১৩৬ ভোট।

জাপার বিদ্রোহী প্রাথী হাতি প্রতীকে আসিফ শাহরিয়ার ২ হাজার ৩১৯, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা মার্কায় গোলাম মোস্তফা বাবু ২৪ হাজার ৬ ভোট, বাসদের আব্দুল কুদ্দুছ মই মার্কা ১ হাজার ২৬০ এবং এনপিপির সেলিম আক্তার আম মার্কা পেয়েছে ৮১১ ভোট।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin