mirja_fakhrul

আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে: ফখরুল

আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মির্জা ফখরুল নয়াপল্টনে সামনে বিভিন্ন দোকানে লিফলেট বিতরণ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে এই অবৈধ সরকারের যে নীল-নকশা এবং নীল প্রচেষ্টা করছে, সেটাও আমরা পরাস্ত করতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমরা যে শপথ নিয়েছি, তারই অংশ হিসেবে আজকের এই লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি।

সিনিয়র নেতারা দল ছাড়তে পারেন কিন্তু মাঠের নেতারা দল ছাড়বে না- তার এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতির মাঠে রাজনৈতিক নেতারা অনেক কথাই বলেন। বাংলাদেশের মিডিয়ার একটি প্রবণতা রয়েছে, আমরা মূল জায়গায় না গিয়ে এসব বিষয় খুঁজে বেড়ায়। আর আজকে আমাদের মূল বিষয় দেশে গণতন্ত্র নাই।

অপরদিকে আজ সকাল ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মহাখালিতে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লিফলেট বিতরণের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে কয়েক দফা বাধা প্রদান করেন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা যখন মহাখালিতে লিফলেট বিতরণ শুরু করি, সেই সময় পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। ওই সময় আমাদের বেশ কয়েক জন নেতাকর্মীদের আটক করে পুলিশ। আর সেখান থেকে আমি চলে আসার পরে শুনেছি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনারকে পুলিশ আটক করেছে।

নয়াপল্টনে বিএনপি মহাসচিবের সাথে লিফলেট বিতরণে অংশ নেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ,চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, তাকে মুক্তি দিন: ফখরুল
এর আগে ৩০ মার্চ বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সংবাদে বিএনপি উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগণকে দূরে সরিয়ে রেখে রাজনীতিকে স্বৈরতান্ত্রিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তারা বিরোধী দল বিএনপিকে পুরোপুরি স্তব্ধ করে দিতে চায়।

তিনি আরও বলেন, তিন বার জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সরকার যে আচরণ করছে তা কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে আশা করা যায় না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) জামিন পেয়েছেন, কিন্তু তাকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। বিচারের সব রকম প্রক্রিয়াকে ইচ্ছে করে বিলম্বিত করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি, তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। যাতে করে দেশে বা বিদেশে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত হয়। তার জামিন হয়ে গেছে। এখন তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই দিনই আদালত থেকে তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই আছেন খালেদা জিয়া। ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্জন পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা হয়েছে। কারাগারে নেয়ার পর তিন দিন তাকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়নি। এখনও তিনি কারাগারে তার প্রাপ্য সুবিধা পাচ্ছেন কী না- তা আমরা জানি না।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin