অবশেষে ঢাকা পর্বেই হয়তো দেখা মিলছে তামিম ইকবালের। ইনজুরি আক্রান্ত কুমিল্লা আইকন ও অধিনায়ক এবার শুরু থেকেই মাঠের বাইরে। তবে সিলেটে জানিয়েছিলেন ঢাকা পর্বে মাঠে ফেরার চেষ্টা করবো।
তামিমের মাঠে ফেরা নির্ভর করছিল জাতীয় দলের ফিজিও রিপোর্টের উপর। কুমিল্লা টিম ম্যানেজমেন্টও জোড় করেননি। বলা হয়েছিল তামিম সুস্থ হলে এবং ম্যাচ ফিটনেস ফিরে আসলেই যেন মাঠে নামেন।
জানা গেছে খেলার মত শারীরিক সক্ষমতা ফিরে পেয়েছেন তামিম। তাই আজ তাকে খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে জোরে সরে। এদিকে তামিমের ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, আজ (মঙ্গলবার) চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেই ঊরুর চোট পান তামিম। চোট পুরো সেরে ওঠার আগেই খেলেছেন টেস্ট ম্যাচ। ওই ম্যাচে আবার চোট পাওয়ায় খেলতে পারেননি পরের টেস্ট ও প্রথম ওয়ানডেতে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমে আবার চোট পান পুরোনো জায়গায়। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে আগেই দেশে ফিরেছিলেন তামিম। এজন্যই বিপিএলে মাঠে নামার আগে ছিলেন শতভাগ সাবধানী। খেলেননি প্রথম তিন ম্যাচ।
সূত্র: জাগো নিউজ
অধিনায়ক সাকিবের উচ্ছসিত প্রশংসা নারিনের মুখে
তার পারফরমেন্স নিয়ে একটি কথাও বলার উপায় নেই। পারফরমেন্সকে মানদণ্ড ধরলে সাকিবই বাংলাদেশে সেরার সেরা। পরিসংখ্যান সে সত্যেরই জানান দিচ্ছে।
টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান তোলায় সাকিব দ্বিতীয়। আবার উইকেট শিকারে সবার ওপরে। একইভাবে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান, পাশাপাশি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ও উইকেট দুই’ই সাকিবের।
বল ও ব্যাট হাতে নৈপুণ্যের দ্যুতিতে মাঠ আলোকিত করা আর সাকিব তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্ভরতাও। হোক তা টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, ভক্ত-সমর্থকরা সবাই সাকিবের বল ও ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকে।
পারফরমার হিসেবে সাকিব সবসময়ই এক নম্বও; কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে সাকিব কেমন? দলকে চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা কতটা তার? রণকৌশল সাজানো, প্রতিপক্ষের ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দুর্বলতা, ফাঁক ফোকর ধরে উপস্থিত সময় বুদ্ধি আঁটার সামর্থ্য কেমন?
তারচেয়ে বড় কথা সহযোগীদের এক সুঁতোয় গেঁথে ফেলার ক্যারিশমা আছে কি-না? নানা কৌতুহলি প্রশ্ন। এমনিতে একটু নিভৃতচারী। কথা বলেন কম। মাঠের বাইরে কোন আড্ডার মধ্যমনিও নন। একটু খোলসবন্দী হয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। আসলে সাকিব কেমন ক্যাপ্টেন? তার নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা কতটা?
তা জানার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এবার। গতবারও ছিল। তবে এবার আরও একটু বেশি করে জানা যাবে, বোঝা হবে আসলে সাকিব কেমন অধিনায়ক? কারণ, এবার বিপিএলে তার ক্যাপ্টেন্সিতে খেলছেন রেকর্ড সংখ্যক তারকা ক্রিকেটার। যারা বিশ্ব ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সব সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের অন্যতম কুমারা সাঙ্গাকারা, পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে বিদায় নিলেও এখনো যিনি ইংলিশ কাউন্টি খেলে যাচ্ছেন সেই শহিদ আফ্রিদি আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ট্রাম্পকার্ড সুনিল নারিনসহ কাইরণ পোলার্ড এবং এভিন লুইসের মতো নামি ও প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারের দল ঢাকা ডায়নামাইটসের এবারের অধিনায়ক সাকিব।
মাঠে এবং মাঠের বাইরে কেমন ক্যাপ্টেন্সি করছেন সাকিব? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে যাদের রাজ্যের কৌতুহল, তাদের জন্য আছে বড় খোরাক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবার আগে যে বোলার ৩০০ উইকেট শিকারি, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনার কাম হার্ড হিটার সুনিল নারিন অধিনায়ক সাকিবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তার বোধ-উপলব্ধি, সাকিব বেশ ভালো অধিনায়ক। তার নেতৃত্বের প্রতি সবার আস্থা আছে।
আজ বিকেলে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের গা ঘেঁষা বিসিবি একাডেমির সবুজ চত্বরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন সুনিল নারিন। সেখানেই প্রশ্ন উঠলো, ‘আচ্ছা আপনারা বেশ কয়েকজন নামি-দামি তারকা এবার ঢাকা ডায়নামাইটসে। আপনাদের অধিনায়ক তো সাকিব। এতগুলো তারকাকে সামলানো, তাদের সেরাটা বের করে আনা এবং ঠিকমতো তাদের ব্যবহার করাওতো সহজ কাজ নয়। সাকিব এ কাজটি কিভাবে সামলাচ্ছেন? তাকে কেমন দেখছেন? কেমন ক্যাপ্টেন্সি করছেন সাকিব?’
সুনিল নারিনের গোছানো জবাব, ‘হ্যাঁ এটা সত্যি, আপনার দল যখন তারকায় ঠাসা থাকবে, বড় ক্রিকেটার বেশি থাকবে- তখন অধিনায়কত্ব করাটা কখনো কখনো একটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়; কিন্তু আমার মনে হয়, সাকিব খুব ভালো মতোই সব দায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আমার উপলব্ধি সাকিব একজন যোগ্য ও দক্ষ অধিনায়কের মতোই সবার কাছ থেকে সেরা পারফরমেন্সটা বের করে আনার কাজটি বেশ দক্ষতার সঙ্গেই পালন করছেন।’
সূত্র: জাগো নিউজ