sekh_hasina_at_su

‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আমীর খসরু এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি বিপন্ন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আমীর খসরু বলেন, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে একটির পর একটি অগণতান্ত্রিক কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা এই কাজটি করেছে। কারণ, এই নির্বাচনে তারা বিশালভাবে পরাজিত হতো। এই জন্য তারা এই নির্বাচনটিকে ভুণ্ডুল করে দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) চিন্তা করেছে এই নির্বাচনে তাদের জয়লাভ করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা ছাড়া তাদের কোনো পথ নেই। আর তা না হলে তাদের পরাজয় হবে। যেটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং এটার মাধ্যমে স্পষ্ট ডিএনসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাদের পরাজয় নিশ্চিত।

আমীর খসরু বলেন, ২০১৮ সালের শেষের দিকে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনের জন্য আজকে জনগণের মধ্যে অনেকগুলো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্নগুলো হচ্ছে আগামী নির্বাচনে নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার অর্থাৎ মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা?

সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন কবির বেপারির সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তারা তো দেখে নাই, মনে করছে বিএনপিকে একেবারে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে।

ওরা সভা-সমাবেশ করতে পারে না, তাদের আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়! একটা সময় আসবে যখন অনুমতি আর নেয়া হবে না।

তাদেরকে অবহিত করা হবে, আগে যা ছিল। আগে এরকম ছিল না যে অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হবে। আমরা এখন মাঠে নামলে আওয়ামী লীগ আমাদের সামনে আর টিকে থাকতে পারবে না।’

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘আমাদের উপর কতো অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন। তারা এক দিকে টিম গঠন করেছে (জাতীয় নির্বাচনের জন্য) আর আমরা অনেকটা বন্দী অবস্থায় আছি।

সভা করতে দেয় না, ঘরোয়া একটা বৈঠক করতে দেয় না। আমার গ্রামে ঘরোয়া ভাবে আমার নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করার কোনো সুযোগ পুলিশ আমাদের দেয় না। সারা বাংলাদেশেই এই অবস্থা।’

সরকার বিএনপিকে একেবারে দুর্বল ও নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় উল্লেখ করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমছে।

তারা যে পদক্ষেপ গুলো নিচ্ছে প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের ভোট কমছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন যে স্থগিত করেছে তাতে তাদের যে জনপ্রিয়তা কমে গেছে এটা তারা নিজেরাই প্রমাণ করেছেন।

তবে বিএনপি নির্বাচনী মাঠে নামলে দেশের রাজনৈতিক চিত্র বদলে যাবে। এটা বলার অপেক্ষায় রাখে না, একবার মাঠে নামলে যে গণজোয়ার দেখবে, আওয়ামীলীগ জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য তখনও ওই নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে।

’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করবো, এবার আমরা খালি মাঠে গোল করতে দেব না, একদলীয় নির্বাচনও করতে দেব না। সেজন্য আমাদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

‘ডিএনসিসি নির্বাচনের আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে জেনেই এই নির্বাচন স্থগিত করেছে সরকার’- জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের নামে কোনো বেল দিলে পরের দিন গিয়েই তারা চেম্বার জজের কাছে গিয়ে স্থগিত করে নেয়।

সরকার যদি ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে সিরিয়াস হতো তাহলে, অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন স্থগিতের পরে দিন গিয়ে এটা কেনো স্থগিত করলেন না?

সুতরাং এটা বোঝা যায়, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন পরিকল্পনা করে রিট করেছেন এবং তারা চেয়েছেন এই নির্বাচন স্থগিত থাকুক। কেনো? কারণ তারা জানে এই নির্বাচনে তাদের (আ. লীগের) বিপুল ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হবে।

জাতীয় নির্বাচন আসছে সামনে, এজন্য তারা ঝুঁকি নিতে চান নাই। এটা সবারই জানা। বাংলাদেশের মানুষ এতো বোকা না।’

বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, জাসাস’র সহ-সভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা প্রমুখ।

ব্রেকিংনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin