risvi_01

আওয়ামী লীগ নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়বে : রিজভী

সহায়ক সরকার দাবি পূরণ না করে যদি দলীয় সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চায় তাহলে তারা নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।শুক্রবার দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিকে নিয়ে যে নেতিবাচক বক্তব্য দেন তারই প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক সভা দলীয় সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃত রণাঙ্গনের মুক্তিযুদ্ধের দল বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে তাদের (আওয়ামী লীগ) একটা অনুশোচনাবোধ কাজ করে। স্বাধীনতার সময় কে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছে তা আমরা সবাই জানি। ইতিহাসেও আছে।

আর আওয়ামী লীগ নেতারা কলকাতায় ইন্টারটেইনমেন্ট সেক্টরে (বিনোদনে মত্ত) ছিল। উনিও (প্রধানমন্ত্রী) তো যুদ্ধে যাননি। আমাদের দেশে নারীরা যুদ্ধে না গেলেও স্বামী-সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়েছে। কিন্তু উনিতো তাও করেননি।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। যাদের রাজনীতি ভাওতাবাজি, ধাপ্পাবাজি তাদের মুখে এমন বক্তব্য শোভন নয়।

জনগণকে প্রতারণার মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসে। ১০ টাকা কেজি দরে জনগণকে চাল খাওয়াতে চেয়েছিল। সে কথা রাখেনি। এখন ২০টাকা কেজি পেয়াজের মূল্য ১২০ টাকা।

তিনি বলেন, দেশের চলমান নানা সংকট, ভয়ংকরতম বেকারত্বের অভিশাপ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট সমাধান না করে প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিএনপি সম্পর্কে একটি বিকারগ্রস্থ বক্তব্য দিয়েছে। ব্যক্তিগত গালিগালাজ করেছে। যা বস্তি লেভেল পর্যায়ের বক্তব্য। অন্ধ হিংসা থেকে এসব কথা বলা হচ্ছে। চাপাবাজি মার্কা কথা।

বর্তমান সরকার বিরোধী মতকে বন্ধ করতে গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। ইতিহাস বলে এতেও রক্ষা হবে না এ সরকারের। তিনি দৃঢতার সঙ্গে বলেন, সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

jugantor

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin