নাশকতার এক মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার দুই মামলায় জামিন পেলেই বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি পেতে পারেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানী, নাশকতা ও হত্যা মামলাসহ অনন্ত ৬টি মামলা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। আইনি লড়াইয়ে প্রায় সবকটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি।
দুটি মামলায় জামিন না হওয়ায় কারামুক্তি মিলছে না খালেদা জিয়ার। এখন অপেক্ষা শুধু কুমিল্লার (নাশকতা ও হত্যা) দুটি মামলায় জামিন। এরইমধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দুটি ঈদ পার করতে হয়েছে কারাগারে।
আর কয়েকমাস পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপির হাইকমান্ড বলছেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, কুমিল্লার আদালতে আগামী ৩০ আগস্ট নাশকতার একটি মামলায় জামিন শুনানি হবে। সব ঠিক ঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরই খালেদা জিয়া কারামুক্তি পেতে পাবেন এমটাই প্রত্যাশা করছেন তার আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়ার আরো আগেই কারামুক্তির কথা ছিল। কারণ গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দিলেও সরকার কারাবাস দীর্ঘ করেন। যাতে তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারেন। আমরা প্রত্যাশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি কারামুক্তি পাবেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মানহানি অভিযোগে ঢাকায় ২টি, নড়াইলে ১টি, কুমিল্লায় ৩টিসহ মোট ৬টি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এসব মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামী করা হয়। এছাড়াও জন্ম দিন ও রাষ্ট্রদোহসহ এসব মামলা খালেদা জিয়া সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জুর করেন।
পরবর্তীতে জামিন না পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। আর অরফানেজ মামলা ৩ অক্টোবর পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন হাইকোর্ট। এমামলায় খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তিতে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।