স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা

বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। রোববার বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে।

এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান।

এর আগে দলটির পক্ষ থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষাতের সময় দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। তার বাম হাত ও বাম পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে। অসহ্য ব্যথা অনুভব করছেন তিনি। একই কথা তিনি গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত আদালত কক্ষেও বলেছেন।

খালেদা জিয়ার কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না দাবি করে মির্জা ফখরুল আরও বলেছিলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন তার স্বাস্থ্য নিয়ে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে (খালেদা জিয়া) সাজানো মিথ্যা মামলায় শাস্তি দিয়ে কারাগারে বেআইনিভাবে আটক রেখে হত্যা করার হীনপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।’

এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিশেষায়িত হাসপাতালে করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হবে বলে রোববার সকালে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কারাবিধি মেনে খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি সুস্থ আছেন।

খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে এর আগে গত ২২ এপ্রিলও বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল। তখন তারা বেগম জিয়াকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছিলেন।

সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হলে খালেদা জিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin