রাজবাড়ীর কালুখালীতে স্ত্রীর বড় বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে এরশাদ মণ্ডল (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের গেট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এরশাদ কালুখালী উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের বকু মণ্ডলের ছেলে।কালুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খান বেল্লাল হোসেন জানান, ১৩ নভেম্বর এরশাদের স্ত্রীর বড় বোন কালুখালী থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামীর বাড়ি ও তার ছোট বোনের স্বামী এরশাদের বাড়ি একই গ্রামে। তাদের বাড়িতে এরশাদ যাতায়াত করতো। এক পর্যায়ে এরশাদ তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৫ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে এরশাদ তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এর আগেও গত ৮ আগস্ট রাত ১০টার দিকে এরশাদ তার স্ত্রীর বড় বোনকে ধর্ষণ করেন।
আরো পড়ুন >> রেজিস্ট্রি বিয়ে বাতিল করে অন্য যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক, অতঃপর…
এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রি। তারপর সেই সম্পর্কে ইতি টেনে অপর এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক।বাড়ির সঙ্গে অশান্তি। এই টানাপোড়ানের মাঝে মৃত্যু হল এক তরুণীর। ভারতের চারু মার্কেট থানা এলাকার এই ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য।নিহতের নাম ঊর্মি দাস। ঘটনায় তার সঙ্গী সুদীপ্ত দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের ধারণা আত্মহত্যা নয়, ঊর্মিকে খুন করা হয়। ওই তরুণীর সঙ্গে কয়েক মাস আগে এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। রেজিস্ট্রিও হয়ে যায়। এরপরই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।ঊর্মির বন্ধুরা সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে বলে জানায় তার পরিবার।
এরপর বাড়ির অমতেই ঊর্মি তার বন্ধু সুদীপ্ত দাসের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। মাস পাঁচেক আগে চারু মার্কেট থানা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে তারা থাকতে থাকে। নিহতের পরিবারের বক্তব্য অনেক চেষ্টা করেও মেয়েকে তারা বাড়িতে ফেরাতে পারেননি। মঙ্গলবার সুদীপ্ত ও ঊর্মির সঙ্গে বাগবিতাণ্ডা হয়। এরপর বাহিরে বেরিয়ে যান সুদীপ্ত।সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে ডাকাডাকিতে সাড়া না পাওয়ায় বাড়ির মালিককে ডাকেন সুদীপ্ত। দরজা ভেঙে তারা ঘরে ঢুকে দেখেন সিলিংয়ে ঝুলছেন ঊর্মি। ওই তরুণীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ এরপর ঘরটি সিল করে দেয়। গ্রেফতার করা হয় ঊর্মির সঙ্গী সুদীপ্ত দাসকে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঊর্মির কয়েকজন বন্ধুকেও জিজ্ঞাসবাদা করা হবে। আত্মহত্যার প্ররোচনা-সহ কয়েকটি ধারায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।নিহতের পরিবারের দাবি যে বাড়িতে ঊর্মি থাকত সেখানে নিয়মিত নেশার আসর বসত। এমনকী ঊর্মিকে সন্দেহ করত সুদীপ্ত। সন্দেহের বশে উর্মিকে খুন করা হয় বলে মনে করছে নিহতের পরিবার। তবে ঊর্মি বাড়ি ছাড়ার পর থেকে মেয়ের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না দাস পরিবারের।
বিডি প্রতিদিন