moududh_ahmedh

সংলাপ না হলে রাজপথে জবাব : মওদুদ

সরকার দেশের সংকট নিরসনে সংলাপ করতে বাধ্য হবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সংলাপ না হলে রাজপথে তার জবাব দেয়া হবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে এই সভা হয় ।

সভায় প্রধান অতিথি মওদুদ আহমদ বলেন, রাজনীতি একটা গতিশীল বিজ্ঞান। এই গতিশীল এমন একটা পর্যায়ে যাবে, তখন আপনারা সংলাপের আয়োজন করার জন্য বাধ্য হবেন। আর যদি না করেন, এর জবাব আপনারা রাজপথ থেকে পাবেন। সেই দাবি বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করবে।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শুনে মনে হয়েছে, বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির মত আরেকটি নির্বাচন করে তিনি ক্ষমতায় থাকতে চান। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আর দরকার নাই এবং ভোট কেন্দ্র আসার দরকার নেই। ভোটারবিহনীর নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার যে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে, সেই পরিকল্পনাটাই বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি তার বক্তব্যে।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনের বিষয়টি প্রকাশ করেছেন মন্তব্য করে প্রবীণ এই আইনবিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মত প্রকাশ করেছেন যে, নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ আর প্রয়োজন নাই। আর সেইজন্য কোন সংলাপেও প্রয়োজন নাই। দেশে নীতি-নৈতিকতাবিহীন একটি মিথ্যাচারের রাজনীতি চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রর স্বীকৃতি দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মওদুদ বলেন, এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে একটি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। অত্যান্ত পরিষ্কার ভাষায় বলতে হবে, যত বড় রাষ্ট্র হোক না কেনো, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আমরা মানি না, বাংলাদেশ মানবে না।

এই কথাটা বাংলাদেশ সরকারকে স্পষ্ট করে ও আরো জোরেসোরে বলতে হবে। আজকে ওখানে শান্তির প্রক্রিয়া ধ্বংস করে দেওয়া হলো। এটাকে প্রত্যাহার করতে হবে, এই বক্তব্যেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আসতে হবে-বলেন তিনি।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেত্রী শিরিন সুলতানা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

উৎসঃ   dailynayadiganta

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin