রংপুর সিটি কনির্বাচনের মাঠে থেকে ভোট ডাকাতি দেখাতে চাই : টুকু

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টুকু বলেছেন, বিএনপির পোলিং এজেন্টদের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।

নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর ক্ষেত্রে আচরণ বিধির কোন বালাই নেই। তিনি বলেন, বিরোধী প্রার্থীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। প্রচারণা করতে দেয়া হচ্ছে না। তবুও আমরা মাঠে থাকতে চাই। মাঠে থেকে দেখাতে চাই তারা কিভাবে ভোট ডাকাতি করে। উই ওয়ান্টু টু ফাইট পজেটিভ।

রোববার দুপুরে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা সাবেক হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, নির্বাচন পরিচালনা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা, মহানগর সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম,

সেক্রেটারী রইচ আহম্মেদ, সাবেক এমপি মহিলা সভাপতি শাহিদার রহমান জোসনা, জাসাস নেত্রী রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক আব্দুস সালাম, যুবদল জেলা সভাপতি নাজমুল আলম নাজু,

সেক্রেটারী সামসুল হক ঝন্টু, যুবদল মহানগর সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, সেক্রেটারী লিটন পারভেজ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মনিুরজ্জামান হিজবুল, সেক্রেটারী শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুর হাসান সুমন, সেক্রেটারী জাকারিয়া জিম প্রমুখ।

টুকু অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে খবু শক্ত করে বলা আছে কোন লাইটিং প্রতীক থাকবে না। কিন্তু এখানে ক্যান্টনমেন্টের সামনে নৌকা প্রতীক লাইটিং দিয়ে শো করা হয়েছে। এভাবে লাঙ্গলেরও করা হয়েছে।

তারা রাত ১১ টা ১২ পর্যন্ত পথ সভা সমাবেশ করছে। আমাদেরকে রাত ৮ টার মধ্যেই থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা যেখানে পথসভা করতে চাইছি। নৌকা প্রতীক সেখানে পথসভা করতে চাইছে। পরশুদিন আমার একটি পথ সভা ছিল সিগারেট কোম্পানীতে। কিন্তু আমরা দেখলাম আমাদের জায়গায় নৌকা প্রতীক পথ সভা করছে।

আমরা কোন গোলমাল চাই না বলেই অন্য জায়গায় পথসভা করছি। তারা মঞ্চ বানিয়ে মাইক দিয়ে সভা সমাবেশ করছে। আর আমাদের প্রার্থীর পক্ষে চেয়ারটেবিল বের করা হলেই ম্যাজিষ্ট্রেট হানা দিচ্ছে। জরিমানা করছে। এসব কারনে আমরা শংকিত। ভোটাররাও শংকিত।

টুকু অভিযোগ করে বলেন, আমাদের আমার পোলিং এজেন্টদের তালিকা প্রকাশ করতে পারছি না। পোলিং এজেন্টেদের তালিকা তৈরি হতে না হতেই আওয়ামীলীগের লোকজন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে থ্রেট দিচ্ছে।

মানুষ এখন তাদের কাছে ভয় জিম্মি, তারা ভয় পায়। কারণ এই সরকারের আমলে যত খুন হয়েছে, জেল হয়েছে, গুম হয়েছে, তাতে মানুষ আতংকিত। পোলিং এজেন্টরা ভয় পাচ্ছে যদি তাদের গুম করা হয়, যদি তাদের লাশটিও পাওয়া না যায়।

টুকু বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাই আপনারা নিরপেক্ষ আচরণ করুন। অন্তত ভোটের দিন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করুন।

dailynayadiganta

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin