‘ম্যাডাম এখন ল বোঝেন’

পুরান ঢাকার বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে বেগম জিয়া তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে বলেন, ‘আপনি রাজনৈতিক বক্তৃতা দিচ্ছেন কেন? ল পয়েন্ট নিয়ে কথা বলেন।’ গত বৃহস্পতিবার নবম দিনের মতো বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়।

ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। যদিও আসামি পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য যে তালিকা দেয়া হয়েছিলো, সেই তালিকায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের নাম ছিলো না। কিন্তু আদালতের বিশেষ অনুমতি নিয়ে তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।

মধ্যাহ্ন ও নামাজের বিরতি পর্যন্ত ব্যারিস্টার মওদুদ এই বিচারকে ‘ক্যামেরা ট্রায়াল’ এবং সামরিক আদালতে বিচারের সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য দেন। মধ্যাহ্ন বিরতিতে বেগম জিয়া ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে ডেকে বলেন, ‘আপনি ল পয়েন্ট বলছেন না কেন। আমার স্বাক্ষরে টাকা উঠে নি। জাল দলিল হয়েছে। ব্যাংকে টাকাও আছে এসব বলুন।’

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘ম্যাডাম আামি বলবো।’ ঘটনার সাক্ষী একজন জুনিয়র আইনজীবী পরে মন্তব্য করেন, ‘মওদুদ স্যার এবার আর ক্যান্টনমেন্টের বাড়ির মামলার খেলা খেলতে পারবেন না। ম্যাডাম এখন ল’ বোঝে।’ উপস্থিত অন্যান্য বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা এ কথায় হেসে উঠেন।

‘আপনি সরকারের দালাল’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘দালাল’ বললেন বিএনপির আরেক নেতা রুহুল কবির রিজভী। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সংসদে প্রধানমন্ত্রী জিয়া পরিবারের দুর্নীতির বিশদ বিবরণ দিয়েছেন গত বুধবার। তার প্রতিবাদ জানাতে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আগে, বিএনপি মহাসবিচবকে একটি লিখিত বক্তব্য তুলে দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মির্জা ফখরুল দেখলেন, লিখিত বক্তব্যের ভাষা আক্রমণাত্মক। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত কাগজটি পড়ে মির্জা ফখরুল তা রিজভীকে ফেরত দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা আমার ভাষা নয়, তাছাড়া সরকারের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন নয়’। রিজভী তখন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আপনি ভয় পান?’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভয় পাবো কেন, এটা রাজনীতির ভাষা না, রাজনীতিতে শালীনতা বলে একটা বিষয় আছে’।

তিনি বলেন, ‘এটা আমার রুচির সঙ্গে মেলে না।’ রিজভী তখন বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আপনি আমাকে রুচি শেখান। বিএনপিতে আমার চেয়ে লেখাপড়া জানা কেউ আছে? দালালরা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতে ভয় পায়?’ মির্জা ফখরুল রিজভীর আচরণে বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘আপনি কি বলছেন?’

রুহুল কবির রিজভী তখন আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি বলছি আপনি সরকারের দালাল।’ মির্জা ফখরুল এসময় একটু রাগান্বিত হন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হলে বিএনপি মহাসচিব প্রেস কনফারেন্স করেন।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin