bnp_jamat

মেয়র পদপ্রার্থী নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সমঝোতা!

২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে নানারকম গুজবকে মিথ্যা প্রমাণ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সমঝোতা হয়েছে! বিএনপি-জামায়াত ২০দলীয় জোটের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে এবং তা জানা যাবে আজ সোমবার রাতেই।

সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জামায়াত প্রার্থী ড. সেলিম উদ্দীনসহ বিএনপির মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া পাঁচ প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে একজনকে চূড়ান্ত করা হবে ২০দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী হিসেবে।

দুপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। বিএনপির আগ্রহী প্রার্থীরা হলেন দলের বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, সহপ্রকাশনা সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম ও বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো.আক্তারুজ্জামান।

অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক চালিয়ে যান। শেষ মুহূর্তে সমঝোতা হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় নেতাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বয়ে যাচ্ছে। তবে ২০ দলীয় জোটের নেতারা স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন না, কি কি শর্তের ভিত্তিতে এই সমঝোতা হল!

বেশ কয়েকদিন যাবৎ সংবাদপত্রে ২০ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে নিয়ে জোট ভেঙ্গে যাওয়াসহ নানারকম গুজব ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াত প্রার্থী ড. সেলিম উদ্দীনসহ জামায়াত নেতারা অনড় অবস্থানে থাকায় জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ২০ দলীয় জোট ভেঙ্গে যাওয়ার শংকা দেখা দেয়।বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দেয়।

এর আগে দলটির মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত দিন গতকাল রবিবারে মেয়র পদে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক পাঁচজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তারাই আজ সেই ফরম জমা দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে।

পরে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘সন্দেহ শঙ্কা যে নির্বাচন সরকার আদৌ করবে কি না, এটা নিয়েও জনমনে কিন্তু বিরাট প্রশ্ন আছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে মানুষের মধ্যে ভীতি, সংশয়, দূর করে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে সেই নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।’

বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল: প্রফেসর ডা. জাহিদ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে বিএনপি গঠিত হয়েছে। বিএনপিকে কোনো ভয় দেখিয়ে লাভ নাই।

আজ সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের মাওলানা ভাসানী মিলনায়তনে জেলা বিএনপির কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, পুলিশি বা অন্য বাহিনীর ক্ষমতায়নে বিএনপি বিশ্বাসী নয়। বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটার বিহীন নির্বাচন।

নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং আর মাত্র ৫ পারসেন্ট ভোটার সেদিন ভোট দিয়েছিল। আর এ কালো অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংবিধান সংশোধন করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনই হবে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর।

কর্মিসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি মজিবর রহমান লেবু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম খান, হারুন অর রশিদ খান হাসান। কর্মিসভায় জেলা, উপজেলা, পৌর ও থানা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের ৫ জন করে প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এর আগে ২০১৭ সালে ২০ মে সিরাজগঞ্জে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, বিএনপির অফিস তল্লাশি করে গুলশান অফিস বন্ধ করে বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
তিনি বলেছিলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের ঠিকানা বাংলাদেশের মানুষ। দেশের প্রতিটি জায়গা খালেদা জিয়ার বাড়ি ও অফিস।

শনিবার(২০১৭ সালে ২০ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় ভাসানী মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ এর সভাপতিত্বে এই কর্মী সভায় তিনি আরো বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকার তারেক রহমানের কোমড় ভেঙে দিয়েছে। আর এই সরকার তাকে মামলা দিয়ে জেল দিয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা করছে ।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ড্যাবের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৯ সাল থেকেই ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর মহাসচিব তিনি।বর্তমানে তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এর দায়িত্বও পালন করছেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin