মাদক মানবদেহের জন্য আর আ.লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর : আলাল

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, মাদক যেমন মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর, আওয়ামী লীগ তেমন স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ১৯৭২-৭৫ সালে শহীদ মিনারের বোনদেরকে লাঞ্ছিত করেছিল কারা? রাতের আধারে বোনেরা শহীদ মিনারে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।

দিনের আলোর জন্য অপেক্ষা করতো তারা, এই ছাত্রলীগ-যুবলীগের অত্যাচারে কারণে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কাণ্ড ঘটে ছিল একজন অভিভাবকের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাপের কারণে পরে তাকে মুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি দলের দুর্বৃত্তদের হাতে সিলেটের এমসি কলেজ চত্বরে নববধুর সম্ভ্রমহানি, নোয়াখালী বেগমগঞ্জে গৃহবধূর নারকীয় বিভৎসতাসহ দেশব্যাপী অব্যাহত নারী ও শিশুর উপর ঘৃন্য সহিংসতা প্রতিবাদে এ অবস্থা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

গণজাগরণ মঞ্চ প্রসঙ্গে আলাল বলেন, শাহবাগের মোড়ে রাতের পর রাত খাবার সাপ্লাই দিয়ে, টাকা দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, তাদেরকে লালন-পালন করা হয়েছে। কি হয়েছে? যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই বলে মাসব্যাপী এমন একটা অবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। যা আইনের কতটা সঠিক প্রয়োগ করা হয়েছিল জানি না। কিছু মানুষের জীবনে চলে গেছে। সামাজিক যে প্রভাবটি হয়েছিল আজকের সেটাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

তিনি বলেন, আজকে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে শিশু-বাচ্চারা যখন প্রশ্ন করে ধর্ষণ কি? তখন সেটার উত্তর আমরা দিতে পারি না। এজন্য আমি বলি মাদক যেমন মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর, আওয়ামী লীগ তেমন স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। মাদক যেমন জীবনকে ধ্বংস করে দেয়, আওয়ামী লীগ তেমন মানুষের সম্ভ্রম নিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দেয়।

মাদক যেমন ধীরে ধীরে একটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে কেড়ে নেয়, তেমন আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাভাবিক বিকাশের সমস্ত প্রক্রিয়াকে কেড়ে নেয়। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আওয়ামী লীগ যেন দীর্ঘদিনের জন্য, প্রয়োজনে চিরদিনের জন্য বিদায় নেয় সেই ব্যবস্থা করে আমরা ঘরে ফিরবো।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম সদস্য সচিব নীপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin