khaleda_05

বিবিসির খবরের প্রতিবাদ বিএনপির দুই উপদেষ্টার

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খালেদা জিয়ার উকিল নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে বিবিসির এক সংবাদের কিছু অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুজন উপদেষ্টা।

গত ২০ শে ডিসেম্বর বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সরদার সাদী এবং ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা আবু সায়েম দুটি পৃথক বিবৃতিতে এই খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। খবর বিবিসির

অনেকটা অভিন্ন ভাষায় দেয়া বিবৃতিতে তারা প্রকাশিত সংবাদটির একটি অংশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যেখানে বলা হয়েছিল ‘সৌদি আরবে বিপুল সম্পদ পাচারের ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের নাম উঠে আসার খবর সম্প্রতি বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘উপরোক্ত বর্ণনায় পাঠকদের মনে এ ধারণা প্রতিষ্ঠার প্রয়াস পরিলক্ষিত হয় যে বিদেশি গণমাধ্যম সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ‘সম্পদ পাচারের’ কথিত অভিযোগটি প্রচার করেছে। আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো, কোন সূত্রের বরাত না দিয়েই বিবিসি বাংলা নিজেদের ভাষাতে বক্তব্যটি উদ্ধৃত করে। সংবাদের আগের পরের অনুচ্ছেদ দুটি পাঠকদের মনে ‘সম্পদ পাচারের’ আগাগোড়া মিথ্যা তথ্যটি বিশ্বাসে বাড়তি সহায়তা করবে।’

তারেক রহমানের উপদেষ্টা আবু সায়েম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে কথিত বিদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ছাপানো খবরটি বানোয়াট, কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

তারা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্রে যে কথিত বিদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সম্পদ পাচারের কাল্পনিক অভিযোগটি প্রচার করা হয়, সেসব বিদেশি গণমাধ্যমের কোন অস্তিত্ব নেই। কথিত ক্যানাডিয় টিভি চ্যানেল ‘দ্য ন্যশনাল’ এবং আরবভিত্তিক চ্যানেল ‘দ্য গ্লোবাল ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্ক’ বলে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন অস্তিত্বই নেই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেছেন, বিবিসি বাংলা তাদের এই খবরে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং পাঠকদের মনে বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ করে দিয়েছে। পাঠকদের মনে এমন ধারণা তৈরি হতে পারে যে বিবিসি বাংলা ‘বিদেশি গণমাধ্যম সম্পদ পাচারের সংবাদ প্রচার করেছে’ বলে নিশ্চিত করেছে।

আমাদের (বিবিসি) বক্তব্য:

প্রকাশিত প্রতিবেদনটির মাধ্যমে বিবিসি বাংলা কোনভাবেই বিভ্রান্তি তৈরি করতে চায়নি। প্রতিবেদনটি ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উকিল নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে। এবং এই খবরটির পটভূমিটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সংবাদ সম্মেলনে যে সব কথা বলেছিলেন তার উল্লেখ করতে হয়েছিল।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি করতে গিয়ে যেভাবে বাক্যটি গঠন করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না। আমাদের স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ ছিল। আশা করি এ নিয়ে এখন বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin