amir_khasru

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব: খসরু

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সেই বক্তব্যে গণতন্ত্রে লেশ মাত্র নেই। তার বক্তব্যে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব ফুটে উঠেছে।

সেই বক্তব্যে উঠে এসেছে আগামী নির্বাচন হবে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া। কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ও ভোটাধিকার বার বার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখলের লড়াই আর সফল হবে না।

কেননা বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এটা বুঝতে পেরেই আজকে আওয়ামী লীগ গুম, খুন হত্যার রাজনীতি বেছে নিয়েছে।’

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তি দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

দেশে অন্যায়, অবিচার, গুম, খুন এবং মিথ্যা মামলার রাজত্ব চলছে মন্তব্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আগামীতে আবারও ক্ষমতা দখলের লড়াই করতে চায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা দখলের লড়াই আর সফল হবে না।’

আমির খসরু বলেন, ‘ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের নির্ভরশীলতা পুরোপুরি রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর। জনগণের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় জনগণ তাদের সাথে নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার গোটা দেশকে একটি জেলখানায় পরিণত করেছে। যার প্রমাণ আজকে যুবদলের নেতা রফিকুল আলম মজনুকে জেলে নেয়া হয়েছে। তাকে হয়তো ছোট জেলে নেয়া হয়েছে কিন্তু সমস্ত দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছে সরকার। দেশের সাথে সমস্ত মানুষ বৃহত্তর জেলখানায় বসবাস করছে। তার কারণ সরকারের টিকে থাকার শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে গুম, খুন, মিথ্যা মামলা ও জেলজুলুম।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছে। কারণ তারা জনগণের কাছে যেতে পারবে না। জনগণের কাছে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সে কারণে বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির জনপ্রিয়তা সরকারকে আরও বেশি বেপরোয়া করে তুলেছে।’

আমির খসরু আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্ভরশীলতা জনগণের ওপরে নেই। কিন্তু বিএনপির জনপ্রিয়তা শতভাগ বাংলাদেশের মানুষের ওপর। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে ইনশাল্লাহ আগামীর মুক্তি সংগ্রাম এবং নির্বাচনে জয়ী হবো। সেই জয় হবে দেশের মানুষের ও গণতন্ত্রের। আগামী ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্রের সাল এবং দেশের মানুষের বিজয়ের সাল। সেই বিজয় হওয়া পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে জনগণ।’

মানববন্ধনে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, যুবদল ঢাকা উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

ব্রেকিংনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin