al_photo

পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আ. লীগ

বিএনপি দীর্ঘদিন পর গতকাল রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে। অব্যাবস্থাপনা, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের নির্দেশনাহীন বক্তৃতাসহ সমাবেশ নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল সেখানে। বিএনপির এমন সমাবেশের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও বড় পরিসরে একটি সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আওয়ামী লীগের সমাবেশ হতে পারে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) স্বীকৃতি দেওয়া উপলক্ষে ১৮ নভেম্বর সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের সব শীর্ষ নেতাই উপস্থিত থাকবেন ওই সমাবেশে। আর ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের কেউ কেউ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন।

দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, বিএনপির সমাবেশের পাল্টা জবাব হবে ১৮ তারিখের সমাবেশ। সমাবেশে সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হবে, যা হবে বিএনপির সমাবেশে উপস্থিতির কয়েকগুন বেশি। আর এই সমাবেশ থেকেই বিএনপির সমাবেশের করা বিভিন্ন অভিযোগের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপির শোডাউনের পাল্টা শোডাউন হবে ১৮ নভেম্বরের আওয়ামী লীগের সমাবেশ এমনটাই জানান ওই নেতারা।

বাংলা ইনসাইডার

‘শেখ হাসিনা খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না’

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। এজন্য চল্লিশ বছর পরে হলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন।

সম্প্রতি দুর্বৃত্তের হামলায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস মোল্যা ও তার ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা লাবলু মোল্যার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও আয়োজিত শোকসভায় এ কথা বলেন তিনি। রবিবার বিকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘ঢাকাটাইমস’ ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক দোলন বলেন, ‘খুনিদের যেন প্রকৃত বিচার হয় সেটি নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। বিষয়টি নিয়ে অবহেলা করার সুযোগ নেই। সমাজ, দেশ, এই অঞ্চলের নেতৃত্ব যদি আমাদের দিতে হয় তাহলে কোনোভাবেই খুনিরা যেন রাজনৈতিক প্রশ্রয় ও প্রশাসনিক সহযোগিতা না পায় সেটি আমার দাবি।’

তিনি বলেন, খুনিদের পরিচয় যাই হোক, তারা খুনি, সন্ত্রাসী। তারা সমাজ, দেশ ও জাতির শত্রু।

কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দোলন বলেন, ‘একটি অসাম্প্রদায়িক শান্তির দেশ গড়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ এই অঞ্চলে অত্যন্ত শক্তিশালী। এই অঞ্চলকে বলা হয় আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও আওয়ামী লীগ পরিবারের দুই নেতাকে হত্যা করে খুনিরা কী প্রমাণ করতে চাইল। আমি মনে করি- আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। আমরা খুনিদের দেশের সর্বোচ্চ আইন ফাঁসির কাষ্টে দেখতে পাই। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, পুলিশের সহযোগিতা চাই, আইন-আদালতের সহযোগিতা চাই।’

কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হতেই হবে। আমরা খুনিদের বিচার নিশ্চিত করবো। প্রয়োজনে জনমত গড়ে তুলবো, যেখানে যেতে হয় যাবো, যত ধরনের আন্দোলন করতে হয় করবো।’

শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন শেখর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এন জামাল হোসেন। আরও বক্তব্য দেন, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এস আকরাম হোসেন, বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ শওকত হোসেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য ও ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ, শেখর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা, সাবেক বোয়ালমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা প্রমুখ।

এর আগে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে গিয়ে নিহতদের শোকাহত পরিবারের খোঁজ নেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দোলন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাসিয়া নদীর পাশের শ্মশানঘাট এলাকায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা। এদের মধ্যে ইদ্রিস মোল্যা আলফাডাঙ্গা সদর বাজার বণিক সমিতি ও বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং তার ছোট ভাই লাবলু মোল্যা আলফাডাঙ্গা সদর বাজার ব্যবসায়ী ও বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগ নেতা।

সূত্র: ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin