‘ধর্ষণের মামলা করলেই এক লাখ টাকা’

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্কাইপে যুক্ত হন লন্ডনে পলাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। চট্টগ্রাম প্রান্ত থেকে এই আলোচনায় নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৈঠকে অংশগ্রহনকারী বিএনপির একজন নেতা বলেছেন ‘তিনবার বিরতি দিয়ে ঐ আলোচনা চলে প্রায় ৯ ঘন্টা। বৈঠকে তারেক জিয়া ‘বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের সব নারী কর্মীদের ধর্ষণের মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, তারেক জিয়া বলেন ‘বিএনপির যারা নারী কর্মী আছেন, তাদের বলি, আপনার এলাকায় যারা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আছেন, তাদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে ধর্ষণের মামলা করুন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা এই মামলার সাথে সাথে স্থানীয় ভাবে কর্মসূচী দেন। সমাবেশ, মানববন্ধন করুন।’ বৈঠকে উপস্থিত একজন তারেকের এই নির্দেশনার কথা স্বীকার করে বলেন ‘তারেক বলেছেন একটি মামলা হলেই, যিনি মামলা করেছেন, তাকে এক লাখ টাকা দেয়া হবে। টাকার জিম্মাদার হয়েছেন আমীর খসরু।’

বৈঠকে অংশগ্রহনকারী আরেক নেতা বলেছেন ‘তারেক নির্দেশ দিয়েছেন যে, ধর্ষণের মামলা করার আগে, সাংবাদিকদের জানাতে হবে। ভালো হয়, একটা প্রেস কনফারেন্স করলে। তাহলে পুলিশ চাপে পরবে। মামলা নিতে বাধ্য হবে। ঐ নেতার ভাষ্য মতে ‘তারেক বলেছেন, ধর্ষণের মামলা না নিলে, মিডিয়াকে বলুন। মিডিয়াকে ম্যানেজ করুন।’

জানা গেছে, তারেক প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে অন্তত ১০টি ধর্ষণের মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য যা খরচ লাগে সেটা দেয়ার জন্য আমীর খসরুকে নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠকে সংযুক্ত একজন বলেছেন, বৈঠকে ধর্ষণের মামলা গুলো একটু রিমোট (প্রত্যন্ত) এলাকায় করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৈঠকে বলা হয়, গণতন্ত্রের জন্য অনেকে আত্মাহুতি, অনেকে জেল, জুলুম নির্যাতন সহ্য করে। আপনাদের এসব কিছু করতে হবে না। শুধু ‘ধর্ষিতা’র একটু অভিনয় করতে হবে। তারেক বিবাহিত নারী কর্মীদের তাদের স্বামীর অনুমতি নিয়ে ধর্ষিতা সেজে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, সিলেটের এম সি কলেজের ঘটনার পরপরই সক্রিয় হয়েছেন তারেক। সারা দেশের তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্কাইপে যুক্ত হচ্ছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত এই পলাতক আসামী।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন ‘এরকম তথ্য আমাদের কানেও এসেছে।  হঠাৎ করে এভাবে ধর্ষণের ঘটনার পেছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin