‘লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল এ কথা বলেন।
এর আগে শনিবার সকাল ১১টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপি আরো বলেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও তা অর্জন হয়নি। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে।’ সরকার অন্যায়, অবৈধভাবে শাসন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করার সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে, তা বিএনপি মেনে নেবে।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন যাতে সময়মতো জিয়ার মাজারে পৌঁছাতে না পারে সে জন্য পথে পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে।’
মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় দলের নেতাদের আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, ডা. জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তেই স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম: ফখরুল
দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে ১৯৭১ সালের এদিনে আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হই। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে অর্জন করি স্বাধীনতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা আমাদের শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন। গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা আজও কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশি সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা আত্মদান করেছেন, সে সব বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। প্রিয় স্বদেশকে স্বাধীন করতে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
৪৭ বছর পর গণতন্ত্রের প্রশ্নে বাংলাদেশ ভয়াবহ সঙ্কটে: মির্জা ফখরুল
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভয়াবহ সঙ্কটে পড়েছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্র দেশ থেকে এখন হারিয়ে গেছে। ফলে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সেই লড়াই সংগ্রামে আমরা সফল হবোই। গণতন্ত্র চর্চা দেশকে আরো সামনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এইদিনে আমাদের জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি দোসররা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিলো। সেই মেধাবী সন্তানদের আত্মত্যাগ অপূরণীয়। সেই আত্মত্যাগের জন্যই সমগ্র জাতি আজ তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে। কারণ শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যার আদর্শ হবে গণতন্ত্র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড আব্দুল মঈন খান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।